লালমনিরহাটে তীব্র শীতের প্রকোপে জনজীবন দূর্ভোগে

মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

উত্তরাঞ্চলে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলার ৫উপজেলায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। জনজীবন, দূর্ভোগ পড়েছে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। গত(১৫ই জানুয়ারী) ২০২৪ইং সোমবার কুড়িগ্রাম আবহাওয়া কার্যালয়ে তথ্য মতে, সকাল ৯টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে এ অঞ্চলে দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটারের কম ছিল। গত কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহের কারনে কনকনে শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারিদিক। এসময় আবার হালকা ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে । দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা মিলছে না সূর্যের । ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় হেড-লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ঘন কুয়াশার কারনে জেলায় রাস্তাগুলোতে চলাচলরত যানবাহন দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে । তীব্র শীতের কারণে প্রভাব পড়েছে ছিন্নমুল অসহায় মানুষের জনজীবনে। নিম্ন আয়ের গরীব অসহায় খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা পরিবারের চাহিদার তাগিদে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ছুটছেন কাজের সন্ধানে। গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এছাড়া দোকান সহ ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়ে গেছে অনেক গুন। এদিকে এমন অবস্থায় চলতে থাকলে আগামী বোরো ধানের জন্য তৈরি বীজতলা ও আলুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে । এবিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা খাতুন বলেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে রাতে বীজতলা ঢেঁকে রাখতে হবে এবং আলু ক্ষেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করতে হবে। অন্য দিকে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ । জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গুলোতে আগের তুলনায় ঠান্ডা জনিত কারনে বয়স্কদের এ্যাজমা রোগ ও শিশুদের ডায়রিয়া সহ সর্দিকাশি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, ইতোমধ্যে সরকারি ভাবে আসা শীতবস্ত্র গরীব অসহায় শীতার্তদের মাঝে বিতরনের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রদান করা হচ্ছে ।

হাসমত উল্লাহ ।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *