শীতের তীব্রতা বাড়ায় পাইকগাছায় লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়ছে

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা)।।
খুলনার দক্ষিণঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। পৌষের শেষের দিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়ছে। শীতের শুরু থেকে পাইকগাছার লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত নিবারণে অনেকেই লেপ-তোষক তৈরীর অগ্রীম অর্ডার দিয়েছেন। আর এসব লেপ-তোষক তৈরী করতে কারিগররা কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে। শীতের সময় প্রতিটি দোকানে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা বেড়ে যায়। তৈরী লেপ-তোষকের পাশাপাশি অগ্রীম অর্ডার দেওয়ায় লেপ-তোষক তৈরীতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বছর সিঙ্গেল ১টি লেপ ৬শ থেকে ৮শ টাকা, ডবল লেপ ৯শ থেকে ১২শ টাকা, সিঙ্গেল তোষক ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা ও ডবল তোষক ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকগাছা পৌর বাজার, নতুন বাজার, কপিলমুনি বাজার, বাঁকা বাজার, আগড়ঘাটা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসকল দোকানে অর্ডারী লেপ-তোষকের পাশাপাশি তৈরী লেপ-তোষক সারি সারি সাজিয়ে রেখেছে। পাইকগাছা পৌর সদরের সুরাইয়া বেডিং হাইজের এর মালিক ফজর আলী জানান, শীতের শুরুতে ভালই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়াই কর্মব্যস্ততা আরো বেড়েছে। শীত নিবারণে উপকরণ লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তিনি আরোও বলেন, শীত এলে তুলা সহ বিভিন্ন উপকরণের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। তাই আমাদের অধিক দামে মালামাল ক্রয় করতে হয়। কিন্তু চায়না থেকে আমদানী করা কম্বল লেপ-তোষক বাজার দখল করে রেখেছে। এতে দেশীয় তৈরী লেপ-তোষকের বাজার মার খাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজারে ১৫০ থেকে ২শ টাকায় চায়না কম্বল বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে অনেকেই লেপ তৈরী না করে কম্বল ক্রয় করছে। সুরাইয়া বেডিং এ লেপ ক্রয় করতে আসা শাহিনুর রহমান জানান, লেপ-তোষকের মূল্য বেশি বলে মনে হয়। তাই বাজারে সস্তায় পাওয়া চায়না কম্বল ক্রয়ে ঝুকছে ক্রেতারা। এ জন্য অনেকেই শীতে চায়না কম্বল ক্রয়ে আগ্রহী হচ্ছে।
লেপ-তোষকের কারিগর আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিদিন ৪/৫টি লেপ তৈরী করা সম্ভব, আর লেপ-তোষক মিলে ৬/৭টি তৈরী করা যায়। বাজারে এখন গার্মেন্টস এর তুলায় লেপ-তোষক তৈরী হচ্ছে বেশি। শিমুল তুলার দাম বেশি হওয়ায় গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী হচ্ছে। গার্মেন্টস এর তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ১৫০ টাকা খরচ হয়। আর শিমুল তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ৬শ টাকা খরচ হয়। আর এ জন্য ক্রেতারা গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী করছে। শীত জেকে বসতে শুরু করেছে, তাই লেপ-তোষকের চাহিদাও বাড়ছে। তিনি আরো জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা আরো বেড়ে যায়। শীতের তীব্রতা বাড়াই লেপ-তোষক, যাজিমের বিক্রি বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকানগুলোতে সারি সারি লেপ-তোষক সাজিয়ে রেখেছেন।

ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা খুলনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *