মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলে নির্বাচনী বিরোধে বাড়িঘর ভাঙচুর, গরু-ছাগল লুটের অভিযোগ

লিটন মাহমুদ,
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সদর উপজেলার আধারায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ভোরবেলায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর, গরু-ছাগল ও দোকানপাট লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আধারার বকুলতলা ও শোলারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত হয়েছেন ২নারী সহ-৩জন। ঘটনার পরপরই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে,মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোলারচর ও বকুলকলা এলাকার লোকজন পরাজিত নৌকা ও জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে বিরোধ চলছিলো।
স্থানীয় আলী হোসেন ও সুরুজ মেম্বারের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বিরোধের সূত্র ধরে নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষকে সামনে রেখে এমন ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের। আলি হোসেন নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের হয়ে এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে একই এলাকার সুরুজ মেম্বারের পক্ষে এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রবাসী আহাদুল। আহাদুল জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লব সর্মথক।

স্বর্ণালঙ্কার নগদ টাকা ও গরু-ছাগল লুটে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ
সদ্য জাতীয় নির্বাচনে তারা স্থানীয় আলী হোসেনের পক্ষে নৌকা প্রতীকের সমর্থন করায় এ হামলার স্বীকার হন তারা।

আহতরা স্থানীয় রেনু বেগম (৫০), মাহফুজ (৫০) ও শাহানাজ (৫০)কে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মাহাবুব ভূইয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানান, তার বাড়ীতে ভাংচুর চালিয়ে ৫ টি গরু, ৮ টি ছাগল ও ১০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নেন। তাদের বাড়ীতে সিসি ক্যামেরা থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও দুটি সিসি ক্যামেরা নিয়ে যায় হামলা কারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বকুলতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ আমিন উদ্দিন সরকার মেয়ে পান্না বেগম বলেন,ভোর কাঁচি সর্মথক আহাদুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়েছে। এসময় তারা আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

এবিষয়ে আলি হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। অপরদিকে আহাদুল সৌদি আরবে থাকায় তার সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান জানান, সকালে এলাকটিতে গ্যাঞ্জামের খবর পেলে সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে এলাকায় উপস্থিত হই। আমারা ৭টি ঘর ভাংচুরের চিত্র দেখেছি। এলাকাটিতে ৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য। ৪টি গরু ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব থেকে দুটি গ্রুপের মধ্যে
বিরোধ চলছিলো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *