তানোরে নৌকাডুবি কি বার্তা দিচ্ছে

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনের তানোরে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এমন ফল বিপর্যয় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও আওয়ামী লীগের অন্দরমহলে চলছে ইতিবাচক নেতিবাচক আলোচনা। অনেকে বলছে, সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের যে কেউ নৌকার পক্ষে থাকলে এমন ভরাডুবি হবার সম্ভবনা ছিলো না। তারা আগামি দিনের কথা বিবেচনা করে মামুনকে ফেরানোর দাবি তুলেছে। কারণ নৌকার ভরাডুবি ঘটনা সেই বার্তায় দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ নিয়ে আগামীতে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না বলে তৃণমূলের অভিমত।
এদিকে স্থানীয়রা নৌকাডুবির ঘটনায়
অভিযোগের তীর ছুড়েছে জনবিচ্ছিন্ন দলের দায়িত্বশীল একশ্রেণীর নেতার বিরুদ্ধে। যারা ঘরে বসে থেকে ভোটের মাঠের প্রকৃত চিত্র এমপির কাছে গোপণ করে মাঠে-ময়দানে বগী আওয়াজ দিয়েছে। তৃণমূলের অভিমত, ত্যাগী- নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অবমূল্যায়ন, জনবিচ্ছিন্নদের পদে বসানো এবং তাদের চ্যালা-চামুন্ডাদের দাপট, আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতার দাম্ভিকতা এবং একশ্রেণীর জনপ্রতিনিধির নানা অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি বিশ্বাসঘাতকতা ও
নিজস্ব বলয় সৃষ্টির পাঁয়তারার কারণেই তানোরে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে যেখানে নৌকার জয়জয়কার সেখানে তানোরে নৌকার স্মরণকালের সর্ববৃহত পরাজয় ঘটেছে। অন্যদিকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও এমন নৌকা ডুবির ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে, দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া, বইছে নানা মুখরুচোক গুঞ্জন, প্রতিনিয়ত এসব গুঞ্জনের ডালপালা মেলছে, চলছে নানা বিশ্লেষণ। কিন্ত্ত কেন-? এমপি ফারুক চৌধুরী একজন আদর্শিক, পরিক্ষিত হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে এখানো তিনি সমান জনপ্রিয়। অথচ ফারুক চৌধুরীর মতো নেতৃত্ব নৌকা প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতিকের দুর্বল প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। কিন্ত্ত কেনো নৌকার এমন ভরাডুবি ?
এদিকে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মানসিকতা, আচরণ, মান-অভিমান ও মনোভাব পর্যালোচনা দেখা গেছে, তারা নেতা (এমপি) নয়, বির্তকিত পাতিনেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাদের ধারণা পাতিনেতাদের দৌরাত্ম্যে প্রতিহত করতে হলে এমপিকে পরাজিত করতে হবে, সেই মানসিকতা নিয়ে তারা নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। যদি তাই না হবে, তাহলে প্রতিপক্ষ কাঁচি প্রতিকের প্রার্থী গোলাম রাব্বানী এতোটা জনপ্রিয় নেতৃত্ব না, যে ফারুক চৌধুরীর মতো নেতৃত্বকে তার কাছে পরাজিত হবে। কারণ ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে দুবার প্রতিদন্দীতা করে দুবারই গোলাম রাব্বানী পরাজিত হয়েছেন। এদিকে কদিন পরেই উপজেলা নির্বাচন। যেখানে এমপি নির্বাচনে ফারুক চৌধুরীর মতো নেতৃত্ব নৌকা প্রতিক নিয়ে পরাজিত হয়েছে, সেখানে উপজেলা নির্বাচনে এসব নেতারা কি বিবেচনায় বিজয়ী হবার স্বপ্ন দেখেন। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *