সুজানগরে ডিএসবি পুলিশ পরিচয়ে প্রেম,বিয়ে অতঃপর

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর(পাবনা) ঃ ডিএসবির পুলিশ সদস্য পরিচয়ে প্রেম,পরে প্রতারণা করে বিয়ের অপরাধে আপেল মাহমুদ(৩৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা ইউনিয়নের মৃধাপাড়া গ্রামের মো.বাকী বিল্লাহর ছেলে। আটকের পর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় বুধবার ওই ভূয়া ডিএসবি পুলিশ সদস্যকে পাবনা আদালতে প্রেরণ করেছে সুজানগর থানা পুলিশ। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডিএসবি পুলিশ পরিচয়ে এবং নিজেকে আশিক নাম পরিচয় দিয়ে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের মাহিয়া খাতুন(১৭) নামে স্থানীয় উদয়পুর উচ্চ বিদ্যারয়ের ১০ শ্রেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে ৫ মাস পূর্বে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং গত ২০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করে ওই প্রতারক। পরে তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে সন্দেহ হলে তার স্ত্রীর পরিবার পুলিশকে খবর দিলে ভূয়া ডিএসবি পুলিশের পরিচয়পত্র তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারণার শিকার কিশোরী মাহিয়া খাতুন জানান, রাজবাড়ী খালার বাড়ী যাবার সময় নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে প্রতারক আপেল মাহমুদের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয় গত ৫ মাস পূর্বে পরে সেখান থেকেই মোবাইল ফোনে তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং সে নিজেকে ডিএসবি পুলিশের চাকুরী করেন বলে পরিচয়পত্র দেখান। এবং তার বাড়ী আতাইকুলা থানার শিবপুর এলাকায় বলে জানায়। পরে পরিবারের সম্মতি ছাড়াই আমরা দুইজন ফরিদপুর জেলার একটি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। গত বুধবার আমাদের নিজ বাড়ীতে এসে অবস্থান করে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশে চাকুরী দেবার কথা বলে টাকা চাইতে থাকলে আমার এবং আমার মায়ের সন্দেহ হয়। পরে থানা পুলিশ আটকের পর জানতে পারি সে এর আগে আরও ৩টি বিয়ে করেছে। আপেল মাহমুদের প্রথম স্ত্রী রুমা খাতুন জানায়,তার সাথেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে গত ২০০৯ সালে সে যখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তখন বিয়ে করে এবং তাদের সংসারে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার স্বামী আপেল অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে বলেও জানায় সে। এ সময় গ্রেফতার প্রতারক স্বামীর কঠোর বিচার দাবী করেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট । এছাড়া গত এক বছর পূর্বে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ২য় বর্ষের এক ছাত্রীকে বিয়ে করে প্রতারক আপেল মাহমুদ। সেই ছাত্রীর বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে পারচিথলিয়া গ্রামে। প্রতারণার শিকার ওই ছাত্রীর ভাই সাইদ হোসেন জানান, গত এক বছর আগে আমার বোনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে ওই প্রতারক। এবং পুলিশের এস আই পদন্নতি নিতে তার ১০ লাখ টাকা লাগবে বলে টাকা নেয় আমার পরিবারের নিকট থেকে। পরে কিছুদিন পর জানতে পারি তার সবকিছুই ভূয়া।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি ।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *