আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
এক দফার দাবি আদায়ে বিএনপি’র অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভোট বর্জনের আহবান জানিয়ে ঝিনাইদহে লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে জেলা বিএনপির’ আয়োজনে হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। লিফলেট বিতরণকালে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ, যুবদলের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু ও শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তুর্কিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। এদিকে কালীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়। বিকাল তিনটার দিকে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি এই অবৈধ সরকারকে সব ধরণের সহযোগিতা বন্ধ করার আহবান জানানো হয়। এদিকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এ মজিদ লিফলেট বিতরণকালে জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, এই সরকার জালেম ও ফ্যাসিষ্ট। আইনগত ভাবে হাসিনা সরকারের কোন ভিত্তি নেই। তারা র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীর উপর ভর করে টিকে আছে। কাজেই ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জন করতে হবে। এমনকি সকলকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পারমথুরাপুর বাজারে গনসংযোগকালে এম এ মজিদ আরো বলেন, নৌকা ও আওয়ামীলীগ দেশবাসির কাছে এখন আতংকের নাম। তারা নিজেরা নিজেরা প্রার্থী হয়ে মারামারিতে লিপ্ত। এতেই বোঝা যায় আওয়ামীলীগ ভিন্নমতকে সম্মান করে না।
পাগলাকানাই ঈগলের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর
ঝিনাইদহ ও শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ১১
আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকায় ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর হয়েছে। প্রতিপক্ষ নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বুধবার ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করা হয়। সংবাদপত্রে প্রেরিত এক খবর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় নৌকার সমর্থক আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে পাগলাকানাই এলাকার ওই অফিসে ভাংচুর চালিয়ে তছনছ করা হয়। ঈগল প্রতিকের সমর্থক পাগলাকানাই এলাকার আব্দুল মান্না ও খোন্দকার আব্দুল মোমিন অভিযোগ করেন, নৌকার লোকজন এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে এবং ঈগলের প্রার্থী সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করছে। ঈগলের ভোটার ও সমর্থকদের ভোট চাইতে নিষেধ করা হচ্ছে। এদিকে গত ১৫ ঘন্টায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার সুরাট গ্রামে হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ ও সাবেক চেয়ারম্যান কেবি জোয়ারদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শৈলকুপার বিভিন্ন স্থানে হামলায় অন্তত ৭জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশ জানায়। এদিকে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নান্নু শেখকে বুধবার দুপুরে পিটিয়ে জখম করেছে নৌকার সমর্থকরা। আসামীরা জামিন হয়ে বাড়ি ফিরে ঈগলের সমর্থক নান্নু শেখকে মারধর করে। আহত অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত নান্নু শেখ বাজিতপুর গ্রামের খয়বার শেখের ছেলে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিদ উদ্দীন জানান, নির্বাচন নিয়ে কোন প্রার্থীর সমর্থক সহিংসতায় জড়ালে পুলিশ জিরো টলারেন্স দেখাবে। ইতিমধ্যে পুলিশ হামলায় দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান
Leave a Reply