রাজশাহী-১ আসনে নৌকাবিরোধী প্রচারণা তৃণমূল বিক্ষুব্ধ

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী এমপি ফারুক চৌধুরী তথা নৌকাবিরোধী প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। এতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন, প্রার্থীর সামাজিক মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও ভোটারদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সচেতন মহলের ভাষ্য, গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো নির্বাচনে প্রতিদন্দীতা করতেই পারেন, এতে দোষের কিছু নাই। কিন্ত্ত প্রার্থী যখন নিজের যোগ্যতা বা সামাজিক মর্যাদার কথা তুলে না ধরে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে প্রচারণা করে তখন সেটা অনৈতিক ও শিষ্টাচার বহির্ভূত হয়। তখন সেই প্রার্থীর যোগ্যতা ও সামাজিক মর্যাদা নিয়েই জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্রোহী এক প্রার্থী নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় বলছেন, বিগত ১৫ বছর এই আসনে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি উন্নয়নের জন্য এসেছেন, নির্বাচিত হলে ৫ বছরে তিনি বিগত ১৫ বছরের থেকে বেশী উন্নয়ন করবেন। এখন প্রশ্ন হলো তিনি আওয়ামী লীগের লোক হয়ে কি করে বলেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, এটাতো সরাসরি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা। আবার আওয়ামী ১৫ বছরে উন্নয়ন করতে পারেনি তাহলে আওয়ামী লীগে থেকে তিনি ৫ বছরে কিভাবে গত ১৫ বছরের থেকে বেশী উন্নয়ন করবেন, আর মানুষ তার কথা কেনো বিশ্বাস করবে ? তাহলে নির্বাচনী এলাকায় দুটি সরকারি কলেজ, দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয, দুটি মডেল উচ্চ বিদ্যালয, দেড় শতাধিক প্রাথিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, একটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, দুটি মডেল মসজিদ, একাধিক হিমাগার, ফিডমিলসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান,শত শত কিলোমিটার পাকা রাস্তা, শতভাগ বিদ্যুৎ, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ দৃষ্টিনন্দন বহুতল বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন, উপজেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, মৎস্য অভয়াশ্রম, কজওয়ে, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন ও গৃহহীনদের বাড়ি প্রদান ইত্যাদি কি উন্নয়ন নয়। অন্যদিকে বলা হচ্ছে জমিদার পরিবার ঠেকাও, তার অর্থ আছে মন নাই, অথচ ফারুক চৌধুরীর বদৌলতে কতো মানুষের কর্মসংস্থানের সুুুুযোগ হয়েছে সেটা কি তারা জানেন। আর যাকে নিয়ে তারা এই সমালোচনা করছেন সেই ফারুক চৌধুরীর পারিবারিক ঐতিহ্য ও সমাজিক মর্যাদা আর তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য ও সামাজিক মর্যাদা কি এক, তাহলে তারা কার বিরুদ্ধে এই সমালোচনা করছেন, তারা কি জেনে বুঝে এসব করছেন।
অন্যদিকে নৌকার মালিক স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি বিশ্ব নেতাদের অন্যতম একজন, যার রাজনৈতিক দুরদর্শিতা ও মেধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই। যিনি প্রার্থীদের আমলনামা বিচার-বিশ্লেষণ করে যাকে যোগ্য মনে করেছেন তার হাতে নৌকা প্রতিক তুলে দিয়েছেন। অর্থাৎ নৌকার প্রার্থীগণ নিজ নিজ এলাকায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীরই প্রতিনিধি। তাহলে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে যারা বিষোদগার বা কুৎসা রটনা করছে তারা তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিষোদগার ও কুৎসা রটনা করছেন বিষযটা কি তায় নয়। এসব বিষোদগার ও কুৎসা রটনাকারিদের কথা যদি সত্যি হয় তাহলে বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রী ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নইতো তাদের থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দুরদর্শিতা কম, আসলে কি ? তায়। তাহলে তারা বুঝে না কি না বুঝে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। তাদের ছড়ানো প্রোপাগান্ডা নিয়ে জনমনে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে একটানা তিনবারের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, শহীদ পরিবারের সন্তান, সিআইপি, রাজশাহী চেম্বর অব কমার্সের সাবেক সভাপতি, রাজশাহীর সর্বোচ্চ স্বচ্ছ আয়করদাতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক আদর্শিক নেতৃত্ব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। তার পিতা প্রয়াত শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী, চাচা শহীদ মুকবুল হক চৌধূরী এবং মামা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা। এছাড়াও তার অনেক নিকট আত্মীয়-স্বজন দেশের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করে শহীদ হয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অভিমত, রাজনীতিতে এমপি ফারুকের সঙ্গে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে আওয়ামী লীগের আদর্শচ্যুত বিপদগামী ও জনবিচ্ছিন্ন একশ্রেণীর নেতা এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে একাধিকবার দলের হাই কমান্ডের কাছে কথিত নালিশ করে তা প্রমাণে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়াও প্রায় ২০ বছর তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন,এই সময়ের মধ্য প্রতিদিন যদি তিনি সরাসরি ৫ জন করে মানুষের উপকার করে থাকেন তাহলে তো ২০ বছরে সাড়ে ৩৬ হাজার মানুষের উপকার করেছেন।
অথচ যারা এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তারা কত জন মানুষের কি উপকার করেছে, বা তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য ও সামাজিক মর্যাদা কতটুকু সেটা এই জনপদের সাধারণ মানুষ জানতে চাই।#

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *