নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শিক্ষক কর্মচারীগণ।
কেন না সরকারি কলেজ, বেসরকারী কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীগণ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পাটির দলীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ ও দলীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহঃসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে আছেন। এসব শিক্ষক কর্মচারীগণ পড়েছেন উভয় সংকটে। এমপি প্রার্থী ও প্রার্থীর লোকজন টানাটানি করছেন। আবার আচারণ বিধির কারণে ভয় পাচ্ছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাহার নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যবিধ সরকারি সুবিধা ভোগ করিতে পারিবেন না এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারিকে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।’
এই পরিপত্র জারির পূর্বে তেমন কোন বিধি নিষেধ না থাকায় অবাধে স্কুল- কলেজের শিক্ষকগণ অন্যান্য সময় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতো।
এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং তা প্রতিপালনের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এই বিষয়ে রাজশাহী -১ আসনে গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে গ্রহণের জন্য আমাদের সবকিছু করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করত। এবার কোন শিক্ষক-কর্মচারি এবিষয়ে বিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সবাইকে এ আচারনবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী।
Leave a Reply