নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতীক, এমপি ফারুক চৌধুরী

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে চার বার এমপি রাজশাহী ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (নির্বাচনী এলাকা গোদাগাড়ী – তানোর) আলহাজ্ব ওমার ফারুক চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে পঞ্চম বারের মতো আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আজ আমি দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পেলাম। আমার মার্কা নৌকা। আমি বিশ্বাস করি এই নৌকা মার্কা সকলের পরিচিত মার্কা। শুধু তাই নয়, নৌকা হলো উন্নয়নের মার্কা, নৌকা হলো স্বাধীনতার মার্কা। নৌকা জাতির জনকের মার্কা। শেখ হাসিনার মার্কা।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা বরাদ্দ পেয়ে দেওপাড়া, গোদাগাড়ীর ফিরোজ চত্তরে বিভিন্ন পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ আগামী ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন প্রকার বিরুপ মন্তব্য না করেন। সবাইকে সাথে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করে নৌকা বিজয়ী করতে হবে।

নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আমার বিশ্বাস, আমার নির্বাচনী এলাকার আপামর জনগণ আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে সংসদে কথা বলার সুযোগ করে দিবেন। আমরা যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ করেছি এবং কিছু অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্যই আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও আমাকে এমপি বানিয়ে সংসদে পাঠাবেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
দলীয় একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সম্পর্কে এমপি ফারুক চৌধুরী বলেন, আমি খুবই খুশি আমার নির্বাচনী আসনে অনেকগুলো প্রার্থী আছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। এতে অবশ্যই নির্বাচনটা উৎসবমুখর হয়ে উঠবে। দলীয় যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তারাও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বিগত দিনে তারা এগুলি করেছে কোন লাভ করতে পারেনি এবারও পারবে না।

সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ উন্নয়নের মার্কা হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর মার্কা হিসেবে নৌকাকেই বেছে নিবেন। এটা আমার বিশ্বাস। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনিন বলেন, শুধু দেওপাড়া ইউনিয়নে ৪৭ হাজার ৬ শ ৯২ জন উপকার ভোগি প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা ভাতা পেয়েছেন। আপনাদের পেছনে বর্তমান সরকার অনেক অবদান আছে। আপনারা সুখী আছেন এর পেছনে শেখ হাসিনার সরকারের অবদান আছে। সাড়ে ১৪ বছরে শিক্ষায় ৬ শ ৩৬ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন করেছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর মাঝে ৮০ কোটি ২৩ লাখ টাকার উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে।

সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৮ টি ভবন নির্মান করা হয়েছে এতে ব্যয় হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা, সংস্কার কাজ হয়েছে ৩৪৭ কোটি টাকা, নতুন বই বিতরণ করে হয়েছে ৮০ লাখ ২৮ হাজার টি বই। কম্পিউটার ল্যাবে ব্যয় হয়েছে ৯০ লাখ ৮১ হাজার টাকা। শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৩৫ টি বাইসাইকেল বিতরন করা হয়ে। তিনি আরও বলেন, এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে বিএনপি জামায়াতের শাসন মূলে বিদ্যুৎ পেয়েছে ৩৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকায় বসে ভিসানীতির প্রতিবাদ করেছেন। বিএনপি জামায়াতকে দেশকে তালেবান, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাই। তাদের সে ইচ্ছা কোন দিনই পূরণ হবার নয়। সবাই নৌকায় ভোট দিবে এ বলে আমি বিশ্বাস করি।

গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, পৌর মেয়র আলহাজ্ব অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রশিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিম প্রমূখ।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *