এমপি ফারুক বিরোধী শিবিরে রণেভঙ্গ ও মতবিরোধ

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীবিরোধী শিবিরে
রণেভঙ্গ ও ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। এবং একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে চরম মতবিরোধ সৃষ্টির গুঞ্জন উঠেছে। স্থানীয় নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝেও মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে ছিটকে পড়েছে আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আক্তার ও গোলাম রাব্বানী। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র দাখিল করেছিলেন। নির্বাচনী আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের স্বক্ষরে গড়মিল থাকায় ইসি ভবনে আপিল শুনানির চতুর্থদিনে তাদের প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ বহাল রাখা হয় তাদের প্রার্থীতা বাতিলের খবরে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত হয়েছে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, সুপারি গিলতে পারে না, নারিকেল গেলার সখ করায় তাদের এমন করুণ পরিনিতি হয়েছে। তারা বলছে, গোলাম রাব্বানী দু’বার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হয়েও বিএনপির দুর্বল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। আবার আখতারুজ্জামান আক্তার ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। তাহলে এরা কি বিবেচনায় দেশের অষ্টম আয়তনের নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী হয়ে ফারুক চৌধুরীর মতো হেভিওয়েট নেতৃত্বকে পরাজিত করে এমপি হবার স্বপ্ন দেখেন ? বরং তাদের এমপি হবার স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে সবকিছু হাতিয়ে অন্যজন এমপি প্রার্থী হয়ে তাদের রাজনীতির পথ চিরতরে রুদ্ধ করে দিয়েছে, এটা জানার পরেই তাদের মধ্যে চরম মতবিরোধ ও কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সব তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা বাদ রেখে ফারুক চৌধুরীর হাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যতো মানুষ উপকৃত হয়েছেন। সেইসব মানুষের তালিকা করা হলে যে সংখ্যা দাঁড়াবে। সেই পরিমাণ নেতাকর্মী তো দুরের কথা সাধারণ মানুষের সমর্থনও তাদের নাই। অথচ তারা ফারুক চৌধুরীকে পরাজিত করে এমপি হবার খোয়াব দেখেন।এমপি ফারুক চৌধুরী তার দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের রাজনৈতিক জীবনে তানোর-গোদাগাড়ী থেকে তিনি প্রতিদিন যদি ৫ জন মানুষের উপকার করে থাকেন, তাহলে ৩৬৫ দিনে ১৮২৫ জন এবং ২০ বছরে ৩৬ হাজার ৫০০ জন মানুষের সরাসরি উপকার করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো উপকারভোগী এই মানুষগুলো তো এখানো এমপির পক্ষেই মাঠে রয়েছে। এমপির জন্য জীবন বাজি রেখে তারা কাজ করতে প্রস্তুত আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধুরী জমিদার ও শহীদ পরিবারের সন্তান, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এবং অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব। দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। নিজস্ব,স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই মানুষটি ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই। যে কারণেে
এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং জনমত গড়তে গিয়ে তারা বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন। এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারো নানা ষড়যন্ত্র, গুজব, প্রোপাগান্ডা ও অপতৎপরতা করেও তৃণমূলের কাছে থেকে তেমন কোনো সাড়া ও জনসমর্থন না পেয়ে
এমপিবিরোধীরা রণেভঙ্গ দিয়ে লেজ গুটিয়েছে। এতে এমপিবিরোধী শিবিরে নেমে এসেছে অমবশ্যার ঘোর অন্ধকার চোখেমূখে ফুটে উঠেছে হতাশার চিত্র। এমপিবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতা ও সংগঠন বিরোধী নানা কর্মকান্ড করেও এমপি ফারুকের জনসমর্থনের কাছে বার বার হার মানতে বাধ্য হচ্ছেন।

তানোর প্রতিনিধি ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *