বীরমুক্তিযোদ্ধা মাঝে আমি আমার বাবার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই-স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছ

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ত্রিশাল পৌরসভার ৩বারের নির্বাচিত সাবেক সফল মেয়র,উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ত্রিশাল আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ মুক্তিযুদ্ধ বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি পরাজয়ের গ্লানি এখনও ভুলে যায়নি। তারা এখনও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

শনিবার (৯ডিসেম্বর) ত্রিশাল মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও তৎকালীন ত্রিশাল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জৈমত আলীর কবর জিয়ারত শেষে তার নিজবাড়ীতে জৈমত আলীর সন্তান আব্দুল আউয়াল ও আব্দুল বাতেন গোলাপ এর আয়োজনে এক স্মরণ সভা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীরমুক্তিযোদ্ধা,গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এ সব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার। সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর সভাপতিত্বে ও ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাহিদ খান ভোলাসহ উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ।

মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ এসময় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন জানিয়ে আনিছ বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে। আর অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল শুধু লুটপাট করেছে। তিনি বলেন আগামীতে সুযোগ পেলে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আরো বিশেষ সুবিধার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করে যাবো। তিনি বলেন- সকল মুক্তিযুদ্ধাদের মাঝে আমার বাবার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।

এসময় স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ সহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে মেজর আফসার বাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার আনছার উদ্দিন ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে পৌর শহরের নওধার হয়ে সুতিয়া নদীর পাড়ে অবস্থিত ত্রিশাল থানায় মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করেন। ভোর পর্যন্ত গুলিবিনিময় শেষে রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে। এ সময় কয়েকজন রাজাকার পালিয়েও যায়। সকালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও তত্কালীন ত্রিশাল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি জৈমত আলী স্থানীয় নজরুল একাডেমি মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। তবে স্বাধীনতাপ্রাপ্তির আনন্দ উদযাপনের উল্লাসের সময় নিজের বুলেটে বিদ্ধ হয়ে ফুলবাড়িয়া উপজেলার গিয়াস উদ্দিন নামে এক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেই থেকে এ দিনটি ত্রিশাল মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *