কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ ‘জয়িতা’ পুরস্কার পেলেন কোহিনূর বেগম

নিজস্ব প্রতিনিধি

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে ”সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” এই ক্যটাগরীতে কুমিল্লা জেলা থেকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষঠ জয়িতা নির্বাচিত রোটারিয়ান কোহিনূর বেগম| ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন জনাব খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান।

জয়িতা’ পুরস্কারে ভূষীত হলেন নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক জয়িতারা। কেবল নিজেদের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল আর চরম প্রতিকুলতাকে জয়করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষ্যে সমাজে নিজেদের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ‘জয়িতা’পুরস্কার পেলেন জনবান্ধব নারী নেত্রী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্য কোহিনুর বেগম।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লা জেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই নারী জয়িতার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের আয়োজনে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সংস্থার সহযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান জয়িতার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

কোহিনূর বেগম ১৯৯২ সাল থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত কুমিল্লা মর্ডার্ণ হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কুমিল্লার শৈলরাণী দেবী পৌর মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ কুমিল্লায় শিক্ষা বিস্তারে ব্যপক অবদান রেখেছেন,এছাড়াও রাজনৈতিক ভাবে কুমিল্লা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি মাষ্টার ট্রেইনার ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সমাজের নারীদের রাজনীতি বিষয়ে সচেতন করা,আত্মনির্ভরশীল করা সহ বিভিন্ন কর্মস্থলে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

এ বিষয়ে কোহিনূর বেগম বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। নারীরা সমাজে পড়ে থাকলে সেই সমাজ কখনই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জয়িতা পুরস্কার দেওয়ার কারনে সমাজে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করার আগ্রহ বাড়বে। পুরস্কার মানুষকে কাজের উৎসাহ যোগায়। আশা করি এই পুরস্কার আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *