বরগুনার তালতলীতে পানির নিচে আমন ধান, বিপাকে কৃষক

মংচিন থান তালতলী প্রতিনিধি।।
বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে গত তিন দিন টানা বৃষ্টির প্রভাবে ‘আধা পাকা ধানে’ মই দেয়ার উপক্রম সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে পানির নিচে রয়েছে আমন ধান। তবে ভালো ফলনে উচ্ছ্বসিত কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ও বিপাকে পড়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আমন ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে। এই ক্ষতি পুসিয়ে ওঠার সুযোগ কম দেখছেন তারা।
চাষিরা বলছেন, মাত্র ১০ শতাংশ আমন ধানের ফলন বের হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ে ফলন বের হওয়া ও আধাপাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সোনার ফসল মাঠে রেখে স্বস্তিতে নেই তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছোটভাইজোড়া,নয়াপড়া,বড় আংকুজানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে ধান চাষিরা আশায় বুক বেধেছিলেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ কৃষকদের শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে কৃষকদের। এখন আর চাষিদের মুখে হাসি নেই। পানির নিচে যেসব আমন ধান রয়েছে তা সবই চিটা হয়ে যাবে বলে জানান কৃষকরা।
কৃষক নুরুজ্জামান বলেন,এবারের মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে শুরু হতে এমনিতেই চাষে দেরি হয়েছে। এখন বেশির ভাগ জমির ধান বের হচ্ছে ও আধাপাকা হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমের আবাদে অনেক টাকা ব্যয় করেছেন। ধান ফলনের এই আসল সময়ে ঝড় বৃষ্টিতে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়।
তালতলী কৃষি অফিসার সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা কৃষকদের উপদেশ দিচ্ছি, জমিতে ড্রেন কেটে পানি বের করে দিতে। তবে কিছু ফসল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে কাজ করছি।

মংচিন থান
তালতলী প্রতিনিধি

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *