আজিজুল ইসলামঃ সোনা পাচারকারীদের ৩ কেজি সোনা খোয়া যাওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সুমনকে ১১ নভেম্বর রাতে সোনা পাচার চাক্রের কামাল ও তার দলবল অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে বেনাপোল গাজীপুর এলাকায় ৩ তলা একটি বাড়ীতে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এবং ১২ নভেম্বর ভোররাতে সুমনকে একটি মাইক্রোবাসে করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারনা করা হয় ঐদিনই সুমনকে হত্যা করে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকার নির্জন একটি বাগানে তার লাশ ফেলে রাখা হয়। তার লাশ যাতে কেউ সনাক্ত করতে না পারে তারজন্য এসিড দিয়ে সুমনের লাশ ঝলসে দেয়া হয়।
প্রথমদিকে সুমনের পরিবার পুলিশকে কিছু না জানালেও সুমন অপহরণের দুদিন পর সুমনের মা বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ করেন। এবং এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে মাগুরা থেকে সুমনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সুত্রে জানাযায়, ১৬ ই নভেম্বর রাতে তারা ঢাকার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোনা পাচারের মুল হোতা অঞ্জন ও ডালিম কুমারকে আটক করে। এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সুমনের বহনকারী মাইক্রোবাস ও তার চালককে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এদিকে সুমন হত্যা ঘটনায় সুমনের পরিবার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।

Leave a Reply