সুজানগরে ৫০ বছর ইমামতি করে পেলেন রাজকীয় বিদায়,কাঁ*দলেন মুসল্লিরা

এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ বর-কনের হেলিকপ্টারে বিয়ে, নায়ক-নায়িকার বিয়ে, জেলার পুলিশ সুপারের বিদায়সহ নানাভাবে সমাজের সেলিব্রেটিদের জাঁকজমকপূর্ণ বিদায় বা বিয়ে দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু মসজিদের ইমামের এমন বিদায় দেখেননি অনেকেই।দীর্ঘ ৫০ বছর ইমামতি করার পর ঘোড়ার গাড়িতে করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিদায় দেওয়া হয়েছে মসজিদের প্রিয় ইমাম ও খতিব হাফেজ আবুল কাশেমকে । বিদায় বেলায় মসজিদের ইমামকে সম্মানিত করার এমন উদ্যোগের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন এলাকাবাসী। পাবনার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামে শুক্রবার দুপুর ২টায় ইমামের সম্মানে এ বিরল বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী জানান, সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দীর্ঘ ৫০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই ৫০ বছরের মধ্যে তিনি গ্রামবাসীদের আত্মার সঙ্গে মিশে গেছেন। এখন তিনি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। এ অবস্থায় তার বিদায় নেওয়ার পালা। কিন্তু বিদায় বেদনার হলেও এলাকাবাসী তা কষ্টে মেনে নেন এবং তার সম্মানে স্থানীয় এলাকাবাসী আয়োজন করেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইমামকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী। পরে তাকে ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে রাজকীয় অথচ চোখের জলে বিদায় দেওয়া হয়। এ সময় এলাকার মুরুব্বিসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রিয় ইমামকে ধরে গাড়িতে তুলে দেন এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে তার বাড়ি স্কুলপাড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, খতিব হাফেজ আবুল কাশেম দীর্ঘ ৫০ বছর তাদের মসজিদে ইমামতি ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এখন বার্ধক্যে পৌঁছেন। তিনি আমাদের সবার সঙ্গে মিশে ছিলেন। গ্রামবাসী তার পরামর্শ নিয়ে কাজকর্ম করতেন। তিনি ছিলেন আমাদের অভিভাবকের মতো। তাই তাকে বিদায় বেলায় এভাবে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *