খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছর বয়সি ছেলে শিশুকে ধ*র্ষনের অভিযোগ

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

নেছারাবাদ উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের শেহাংগল গ্রামে রাশেদুল ইসলা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ছয় বছর বয়সি একটি ছেলে শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাতে শেহাংগলের আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত স্বামী পরিত্যাক্তা এক গৃহবধূর ছোট ছেলে শিশুকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে ওই যুবক। ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও অসুস্থ রয়েছে ওই শিশু। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবার থানায় যেতে চাইলে গ্রামের প্রভাবশালি শালিসদারের বাধার মুখে অভিযোগ দিতে পারেননি।

অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলাম গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মো: আবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে স্থানীয় রহিম খান, মাসুদ,নাসির নামে তিন জন লোকের নেতৃত্বে শালিস বৈঠক হয়। শালিসে অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলামকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারকে মাত্র দুই হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি রফাদফা করা হয়।

ওই শিশুটির মা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন রাত আটটার সময় আমি বাসার সামনে বসা ছিলাম। এসময় রাশেদুল বলে আপনার ছেলে আমার কাছে থাকুক। আমি ছেলেকে তার কাছে রেখে পাশের ১নম্বর ঘরে যাই। এসময় রাশেদ আমার শিশু ছেলেকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে। কিছু সময় পর ছেলেকে খুজে না পেয়ে রাস্তার পাশে ব্রীজের জঙ্গলের পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় পাই। কোলে করে বাসায় নিয়ে জানতে পারি ছেলেকে রাশেদুল ধর্ষন করেছে। ছেলেটি আমার একনো অসুস্থ ।

শিশুটির আপন নানি হালিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার নাতীকে ফুসলিয়ে রাশেদুল ধর্ষন করেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় যেতে চেয়েছিলাম। গ্রামের প্রভাবশালিরা যেতে দেয়নি। তাদের পক্ষের কিছু লোক আমাদের মোবাইল পর্যন্ত আটকে রেখেছে। স্থানীয় নাসির,মাসুদ এবং রহিম খান এরা শালিসি করে আমার নাতীর চিকিৎসার জন্য দুই হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়।

তবে এ ঘটনার শালিসদারদের সাথে কথা বলা চেস্টা করলে একজনে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় অপর দুজন কল রিসিভ করেনি।

অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলামের মা রেহানা বেগম বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ, ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে মেরেছে।

অযথা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাত হাজার টাকা নিয়েছে । তাছাড়া এ ঘটনাতো তো মিমাংস হয়ে গেছে। এখন জিজ্ঞেস করেন কেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো: হুমাউন কবির বলেন, ঘটনা শুনে আমি স্থানীয় মাসুদ এবং নাসিরকে শালিসের ভার দিয়ে ছিলাম। তারা অপরাধির অভিভাবকের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এখন শুনলাম সেই টাকা থেকে নাকি ভুক্তভোগী পরিবারকে মাত্র দুই হাজার টাকা দিয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন এর যথাযথ বিচার হওয়া উচিত।

আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ,পিরোজপুর।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *