বরগুনার তালতলীতে সন্ত্রাসী কায়দায় দোকানঘর ভাং*চুর ও মালামাল লু*টপাটের অভিযোগ

মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে সন্ত্রাসী কায়দায় একটি মুদির দোকানঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মোশাররফ ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে। ঘটনানাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙা গ্রামে।

মোশাররফ হাওলাদারের নির্দেশে জোর পূর্বক ভাবে ঐ অসহায় ছবির হাওলাদারের মুদির দোকানঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী কবির জানান, মোশাররফ এর নির্দেশে তার পুত্র রুবেল, রিয়াজ, সাইদুল, সাদেক, ছগিরের বোন তাজেনূর সহ আরো অনেকে সোমবার রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহকারে জোর পূর্বক ভাবে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।

ভুক্তভোগী পরিবার মৃতঃ ইসকান্দার হালদারের পুত্র ছগির হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন,দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তার নগদ ৮০হাজার টাকাসহ আরো লক্ষাধিক টাকার মালামাল সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় লুটপটে বাধা দেওয়া আমার স্ত্রীর কানের স্বর্ণের দুল নিয়ে যায় বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

ছগির আরও অভিযোগ করে আরো বলেন,
আমার বোন তাজেনূর কয়েক বছর আগে
জমি ক্রয় করার জন্য কিছু টাকা বায়না করে রাখে।এরপর জমির দলিল নেয়না টাকা ও দেয়না। আমি বোনের কাছে জমির টাকা চাওয়ায়
এ নিয়ে আমাদের কথার কাটাকাটি হয়। এমন সময়ে আমার অন্য বোনের স্বামী মোশাররফ তার ছেলেদের দিয়ে আমার উপর হামলা করে দোকানে ভাঙচুর লুটপাট চালায় । এ সময় আমাকে সুপারি কাটার দিয়ে আঘাত করতে গেলে সেই আঘাত আমার বোন তাজেনূরের কপালে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। আমি মোশারফ ও তার সন্তানদের বিচার চাই।

এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে মোশারফ হাওলাদার বলেন, ছগিরের দোকানে কোন হামলা হয়নি। ছবির উল্টো তার দোকান ভাঙচুর করেছে। এবং তাজেনূরকে(শর্তা) সুপরি কাটার দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম খান বলেন,এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

মংচিন থান
বরগুন প্রতিনিধি

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *