October 18, 2024, 3:12 am
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পাবনার সুজানগরে ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও তাতীবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধা, মানিকহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিউলইসলাম শফি,দুলাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বাচ্চু মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মাস্টার, পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জুয়েল রানা,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ তুষার ও ছাত্রলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনমাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩ নভেম্বর) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মুনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মধ্যরাতে কারাগারের ভিতরের এমন জঘন্য ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ওই ঘটনায় দেশবাসীসহ সারাবিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল। জাতীয় এই চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং তাদের হত্যার রাজনীতিকে পরাজিত করেছে। শেষে বঙ্গবন্ধু সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে নিহত সকলের এবং ১৯৭৫ সালের (৩ নভেম্বর) নিহত জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মুনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।