আকর্ষণীয় ও চিত্তাকর্ষক “সবুজ পাঠশালা” গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও মিজাবে রহমত

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তার উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা পরিত্যক্ত ও পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন। নিজের হাতে সবজি বাগান করার লক্ষে বীজ বপন ও পরিচর্চা করে এলাকায় প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি “সবুজ পাঠশালা” গড়ার নাম দিয়ে তার চাষকৃত সবজি শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে উপহার দিয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিলো এক ইঞ্চি জমিও খালি বা অনাবাদি রাখা যাবে না। আর সে লক্ষে “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র অনুশাসন বাস্তবায়নে এবং চিত্তাকর্ষক ও আকর্ষণীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় নিশ্চিতকরণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এর উদ্ভাবনী উদ্যোগ “সবুজ পাঠশালা” গড়ে তুলতে মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যতিত পতিত জমিতে ফুল ও সবজি বাগান করার লক্ষে স্ব-উদ্যোগে তাৎক্ষণিক পতিত ভূমিটি চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ইউএনও তার মেধায় পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষের এ উদ্যোগ নেন। উপজেলার প্রায় সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পুষ্টির চাহিদা পুরণ,স্কুল গুলোতে সবুজের সমারোহ, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলো সবুজ পাঠশালা হিসাবে পরিচিতি পাচ্ছে।এসময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন আরা বেগমসহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থেকেই তার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পাশে ফাঁকা জায়গায় সবজি চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করেছেন এবং সাফল্যও পাচ্ছেন। নিজের হাতে উৎপাদিত সবজি চাষে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি নিজেও তাঁর অফিস প্রাঙ্গণে ও বাস ভবনে সবজি চারা পরিচর্যা করার একটা অভিজ্ঞতাও অর্জন করছেন নিজে চাষ করে ফলানো ফসলের কি আনন্দ তা অনুভব করেছেন।

একই সাথে তিনি বলেন, গ্রাম বাংলায় একটা সময় ছিলো এক বাড়ির তরকারি আরেক বাড়িতে যেত আবার এক বাড়ির পিঠা আরেক বাড়িতে যেত। তিনি উপজেলার বিভিন্ন নেতৃ স্থানীয় ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে আবার অনেককে ডেকে নিয়ে এসে তার চাষকৃত সবজিগাছগুলো উপহার দেওয়ার মধ্যে দিয়ে এলাকার সম্প্রীতি ভালোবাসার পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করছেন। এভাবেই সবুজ পাঠশালার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয় পল্লী গড়ে উঠবে এবং বাংলাদেশ হয়ে উঠবে একটি “আত্মীয় পল্লী গড়ি” বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় জনসাধারণ, অভিভাবক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষকসহ সুধী মহলে আলোচিত হচ্ছে ইউএনওর উদ্ভাবনী উদ্যোগ “সবুজ পাঠশালা”। তারা জানান, উদ্যোগটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র পাল্টে দিয়েছে, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে। শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়েছে। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *