মহালছড়িতে দশমীতে সিঁদুর খেলা শেষে দেবী দুর্গার বিসর্জন

(রিপন ওঝা, মহালছড়ি)

সারাদেশের ন্যায় মহালছড়িতেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী দূর্গার দশমীর বিহিত পূজা ও সিঁদুর খেলা শেষে দুপুর থেকে কাপ্তাই লেকে চেঙ্গী নদীর ঘাটে শুরু হয়ছে প্রতিমা বিসর্জন।

আজ ২৪ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার বিসর্জনের ঢাক বাজবে। ঢাকের বোলে রণিত হবে বিদায়ের মূর্ছনা। ভক্ত অনুরাগীদের ভারাক্রান্ত মন, চোখে একরাশ জল নিয়ে মাকে বিদায় জানাচ্ছেন। এদিকে দেবী বিসর্জন উপলক্ষে ঘাটগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

এবার মহালছড়ি উপজেলা(সদর ইউনিয়ন ও মাইসছড়ি ইউনিয়ন) তে ২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। মহালয়ার মধ্য দিয়ে যে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছিল, ভক্তের জন্য অভয় বার্তা নিয়ে এসেছিলেন দুর্গতিনাশিনী, মহাশক্তির সেই দেবী দুর্গা মঙ্গলবার ফিরে যাচ্ছেন। তারপর আরেকটি শরতের অপেক্ষা।

মহালছড়ি উপজেলার উভয় মন্দিরে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ স্থানীয় নেতাকর্মী, অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মাইসছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পূজামন্ডপ পরিদর্শনে যান।

পূজাঙ্গনে দিনের বেলায় ধর্মীয় বিশ্বাসের মাঙ্গলিক কার্যক্রম সুসম্পন্ন হয়েছে, উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে মহানবমীর পূজা ও প্রতি রাতে ধুনুচি নাচসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান। পূজার শুরু থেকে মণ্ডপে মন্ডপে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ছিল ভিড় লক্ষ্মনীয়।

প্রসঙ্গত যে, শাস্ত্রমতে নবমী বিহিত পূজা হয় নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও ষজ্ঞের মাধ্যমে। দেবী দুর্গার কাছে নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে আহুতি দেওয়া হয়। পুরাণে বলা রয়েছে নবমী পুজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়।দশমী দিনে বির্সজন, বিসর্জন মানে ফেলে দেওয়া বা পানিতে ডুবিয়ে দেয়া নয়। বির্সজন মানে মাকে বিশেষ ভাবে অর্জন। এতদিন প্রতিমা আকারে যে মায়ের পূজা করা হয়েছে সেই মাকে হৃদয়ে স্থান দেয়া হয়। সেই জন্য সকালে দর্পণ বির্সজন দেয়া হয়। ভগবান সব সময় সবার হৃদয়ে বসবাস করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *