পাইকগাছার হরিঢালীতে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা, খুলনা।।
পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নে সরকার প্রদত্ত ন্যাযমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এবারও প্রায় ৮শত ১০ টাকার নিত্যপণ্য মিলছে ৪৭০ টাকায়। রবিবার,(১৫ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষ ভর্তুকি দামে চাল, ডাল ও তেল কিনতে পারছে। জনপ্রতি ২ লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকা, ২ কেজি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ৫ কেজি চাল ১৫০ টাকা মোট ৪৭০ টাকার প্যাকেজে তিনটি পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল (বোতলজাত) ১৬৮-১৭০ টাকা, মোটা চাল ৪৮-৫০ টাকা, ডাল ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে বাজারে প্রতি প্যাকেজ পণ্য প্রায় ৮ শত ১০ টাকায় কিনতে হবে, টিসিবির ভর্তুকি দামে সেটি কেনা যাচ্ছে ৪৭০ টাকায়। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের পরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ডলারের দাম, দেশে চলছে ডলার তীব্র সংকট। ফলে পণ্য আমদানি কমছে। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে কয়েক গুণ। এ পরিস্থিতিতে স্বল্প দামে এক কোটি পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় হরিঢালী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ আল-আমীন, হরিঢালী ইউপির বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা শাখার উপ-পরিচালক মোঃ সেলিম, ওয়ালিদ বীন হাবিব, ৭নং মামুদকাটী গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য শংকর বিশ্বাস, ৫নং নোয়াকাটী গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আজিজুল ইসলাম, টিসিবির ডিলার ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম বজলু, শেখ সেলিম, ভূদেব মন্ডল ও শহীদ গাজী প্রমুখ।পরে সচিব
মাহমুদকাটির শ্মশান কালী মন্দিরের শিলান্যাস করেন।মাহমুদকাটীস্থ সার্বজনীন মহা শ্মশান প্রঙ্গনে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি শিলান্যাস করেন। রাজীব গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় শিলান্যাস অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অবঃ প্রধান শিক্ষক গনেশ ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, সহকারী কমিশনার তৌহিদ রেজা,অবঃ শিক্ষক নির্মল চন্দ্র ভদ্র,নিতাই পাল,গৌবিন্দ বসু ও সমীরন দে । ৮ গ্রামের এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে আদশ্য মহা শ্মশানে পরিনত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য রাখেন কালী মন্দিরের সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান শংকর বিশ্বাস,আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রভাষক স্বপন কান্তি, প্রেমচাঁদ ভট্টাচার্য, সাবেক ইউপি পরমান্দ মন্ডল,রনজিৎ কুমার দে,বাসুদেব রায়,ইউপি সদস্য জযন্তী বিশ্বাস,স্মমিতা আঞ্জুযারা,আজিজুলসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেষার মানুষ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *