January 15, 2025, 9:16 am
মোঃ আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ থেকে ঃ- বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল’র জন্মদিন উদযাপন করেন মালদ্বীপ শাখা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মালদ্বীপের রাজধানী সি বিল্ডিং হল রুমে, অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মাওলানা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব দুলাল মাতব্বর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনার তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোঃ জসিম উদদীন, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন ভিউ কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এর চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকায় ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম গ্রহণ করেন শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন ‘রাসেল’। এই নামকরণে মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের, কিন্তু মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। তবে সাত বছর বয়সে ১৯৭১ সালে তিনি নিজেই বন্দি হয়ে যান।শেখ রাসেলের ভুবন ছিল তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে পরিবারের সদস্যদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। তখন রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
প্রধান অতিথি এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, শৈশব থেকে দুরন্ত প্রাণবন্ত সকলের আদরের ছোট শিশু শেখ রাসেল ছিল অত্যন্ত বিনয়ী ও পরোপকারী। বিভিন্ন বর্ণনায় শিশু শেখ রাসেলের যে আদর্শ চারিত্রিক বৈশিষ্টের রূপ পাওয়া যায়, তা সকল শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ।
হাইকমিশনার আরো বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে কোমলমতি শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল আজ শিশুদের প্রতীক ও মানবিক সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে। শেখ রাসেলের সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তার প্রিয় ‘হাসু আপা’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোঃ মজিবুর রহমান, ডাঃ সুজন চন্দ্র পাল, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্যাংকের সি ইউ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, লোকাল ডিরেক্টর হান্নান খান কবির, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মনির হোসেন,সহ-সভাপতি শাহজালাল শিকদার, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ রাসেল হাওলাদার, মোঃ ওলি উল্লাহ, মোঃ সান্ত প্রমুখ।
মোঃ নূরে আলম রিন্টুর সন্জলনায় অনুষ্টানে মোনাজাত ও দোয়া করে কেক কেটে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন