ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশালকে স্মার্ট উপজেলা গড়তে চান আওয়ামী লীগ নেতা আনিছ

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর স্মৃতি বিজরিত এলাকা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা।একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের সংসদী আসন ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল সংসদীয় এলাকা। এ আসনের ভোটাররা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে এই আসনটিতে প্রার্থী পরিবর্তন হবে। আসবে নতুন মুখ। সে হিসেবে বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মাঠে নেমেছেন। তরুণ, মেধাবী, ব্যবসায়ী হিসেবে ইতিমধ্যে এই আসনে বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে পরিচয়-পরিচিতি হয়ে সাড়া ফেলেছেন সাবেক ছাত্রনেতা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, ত্রিশাল পৌরসভার ৩বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ ।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সাধারণ ভোটারদের অভিমত তারা সংসদ সদস্য হিসেবে নতুন এবং তরুণ, মেধাবী, শিক্ষিত, সৎ, নম্র, ভদ্র মুখ দেখতে চান। যারা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দেবেন। এজন্য মাঠেও নেমেছেন এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র আনিছ। কারণ তিনি উন্নয়নবান্ধব একজন জনপ্রতিনিধি।সাধারণ মানুষের ভাষ্য তিনি এমপি হলে ত্রিশাল পৌরসভা এলাকার মত উপজেলাকেও উন্নয়নের মাধ্যমে রুপ পাল্টে দিবেন।

স্থানীয়রা জানান, পর পর তিনবার শেখ হাসিনা যেমন তার সরকার গঠনে নতুন মুখের চমক দেখিয়েছেন। তেমনি আগামী নির্বাচনী ময়মনসিংহ-৭ আসনে নতুন মুখ হিসেবে কাউকে দেবেন। এই আসনে নতুন কেউ বিজয়ী হলে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও বিভিন্ন কাজে আসবে গতির ধারা। সেই হিসেবে নতুনদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় এগিয়ে ময়মনসিংহ জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ।

তিনি ছোট বেলা থেকে রাজনৈতিক সচেতন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভূমিকা রাখেন বিএনপি-জামায়াত সরকার হঠানো আন্দোলনেও। ত্রিশালের বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন আনিছ।

মেয়র আনিছ প্রসঙ্গে কথা হয়,ত্রিশালের কয়েকজন রাজবিদদের সাথে সাথে। তারা বলেন, আমরা এলাকার উন্নয়নে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। আর এসব আছে ত্রিশালের সন্তান মেয়র আনিছের মধ্যে।

একই এলাকার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নতুন ও তরুণরা নেতৃত্ব দেবেন। এজন্য মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ মেধাবী, চৌকস, বুদ্ধিমান এবং আগামী দিনের নেতৃত্বে বলিষ্ঠবান। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

কথা হয় সাধারণ ভোটারদের মাঝে, আমরা যে উন্নয়ন দেখতে চেয়েছিলাম, তা দেখতে পারিনি। ত্রিশালের মানুষ আজ হতাশ। এ কারণে আমরা নতুন প্রার্থী দেখতে চাই। যিনি এলাকার মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকবে। নিয়মিত এলাকায় আসবে। মানুষের সুখ-দুঃখে থাকবে তাকেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চাই।

আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়, মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ এর সাথে, তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে আমি সব সময় সবার সাথে ছিলাম। আগামীতেও থাকবো। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবে আমি তার সাথে থাকবো। নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচন করবো। যাকে মনোনয়ন দেবে তার নির্বাচন করবো। আগামী নির্বাচনে আমি মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করি তাহলে ত্রিশালকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। এলাকায় কর্মসংস্থান না থাকার কারণে যুবকেরা বেকার হয়ে পড়েছে, এবিষয়টি আমাকে বেশ ভাবায়। তাই আমার পরিকল্পনা আছে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যাতে তারা মাদক থেকে দূরে থাকে। বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সংযুক্ত করা হলে তাদের মন ভালো থাকবে। ত্রিশালকে আধুনিক ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলে বেকার সমস্যা সমাধান করা হবে। তাই আগামী দিনে দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশ বান্ধব ও ক্লিন পরিবেশের সাথে স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য তিনি সকলের কাছে ভালোবাসা, দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *