এম এ আলিম রিপন ঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রচারে মুখর হয়ে উঠেছে ৬৯পাবনা-২ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকা। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সরকারের উন্নয়ন ও সফলতা সাধারণ ভোটারদের সামনে তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সংসদীয় এ আসনের নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিন অন্যান্য ইউনিয়নের ন্যায় শনিবার পাবনা-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়েছেন। এদিন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম-মহল্লা থেকে নেতাকর্মীরা,সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আহম্মদপুরে সমবেত হয়। এরপর সেখান থেকে আ.লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি প্রতিটি গ্রামের মানুষের মাঝে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের চিত্র ও সফলতার কথা তুলে ধরেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন। এছাড়াও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগকে আবারও বিজয়ী করতে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান । বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশা রেখে আজিজুল হক আরজু বলেন, পাবনা-২ নির্বাচনী এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমি আশা রাখি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো আমাকে পাবনা-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন দেবেন। আর এবারও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবেন এবং তিনি তার সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে নির্বাচনী এলাকার অবহেলিত জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবেন বলেও জানান খন্দকার আজিজুল হক আরজু। আ.লীগের নেতাকর্মীরা জানান, পাবনা-২ আসনের সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক খন্দকার আজিজুল হক আরজু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তিনি ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর মহসিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২ বছর দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৭৯ সালে মহসিন হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এজিএস নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে তিনি জিএস পদে নির্বাচন করেন। এ সময়ে তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এবং এর আগে তিনি ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ ছিলেন। খন্দকার আজিজুল হক আরজু ১৯৯১ সালে থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হতে শুরু করে বিভিন্ন সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এবং বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনী এলাকার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখাসহ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন,সমাজ সেবা, ও ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে খন্দকার আজিজুল হক আরজু নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে চলেছেন। ফলে নির্বাচনী এলাকা জুড়ে আ.লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তার একটা পরিচ্ছন্ন ও নিজস্ব ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আজিজুল হক আরজুকেই মনোনয়ন দেবেন বলেও প্রত্যাশা রাখেন তারা। গণসংযোগকালে তার সাথে আ.লীগ নেতা এবিএম রফিকুজ্জামান জয়েন, ফখরুল, মোতালেব,আলম, নাজমুল হক,রফিকুল ইসলাম,সজিব হাসান, জিলাল,শাহজাহান জলিলসহ স্থানীয় আ.লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা এলাকার মেধাবী কৃতি সন্তান খন্দকার আজিজুল হক আরজুর পিতা মৃত খন্দকার জনাব আলী ছিলেন একজন শিক্ষক। খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বড় ভাই মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফজলুল হক জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতা ছিলেন। এবং বিএডিসি’র শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তাঁর মেজো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডক্টর খন্দকার বজলুল হক বর্তমানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইমেরিটাস টিচার,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য,কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিম্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পরপর দুইবার নির্বাচিত সভাপতিসহ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর দুইবার চেয়ারম্যান ও পিএসসি’র সদস্যও ছিলেন। তার সেজো ভাই খন্দকার মাজেদুল হক বিসিআইিস’র সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই খন্দকার সিরাজুল হক একজন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।এবং তাঁর ৩ বোন স্ব-স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা) প্রতিনিধি।

Leave a Reply