December 21, 2024, 5:10 pm
নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:
নেছারাবাদ উপজেলার সরকারি হাসপাতালের কোন নার্স রোগীদের ক্যানোলা পড়াতে পারেনা। নেছারাবাদ উপজেলার মেডিপ্রাইম ক্লিনিকের ম্যানেজার পদে চাকরি করা সুকদেব মন্ডল নামে এক কথিত চিকিৎসক এ দাবি করেছেন। তিনি আরো দাবি করে বলেন, কেবল নার্সই নয়; উপজেলা হাসপাতালে সদ্য এম,বি,এস পাশ করে আসা একজন ডাক্তারও যা পারেনা, তিনি তা পারেন।
সম্প্রতি ওই ক্লিনিকে উপজেলার আরামকাঠি থেকে আসা মালিহা নামে এক গৃহবধূ প্রসব বেদনা নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হন। ক্লিনিকের ম্যানেজার পদে চাকরি করা সুকদেবের লেখা ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের মুখে তিনি কথাগুলো বলেন।
জানাযায় গত ১৫ সেপ্টম্বর উপজেলার আরামকাঠি থেকে প্রসববেদনা নিয়ে মেডিপ্রাইম ক্লিনিকে ভর্তি হন মালিহা নামে এক গৃহবধূ। ওইদিন কথিত চিকিৎসক সুকদেব মন্ডল তাদের ক্লিনিকে অনিয়মিত এক ডাক্তারের রেফারেন্স দিয়ে রোগীকে সিট দেন। পরে রোগীর প্রসব ব্যাথা তীব্র হলে তিনি নেছারাবাদ হাসপাতালের এক জনৈক এক নার্স ডাকেন। নার্স ও তিনি(সুকদেব মন্ডল) মিলে ওই রোগীর ডেলিভারি করান। পরে ওই রোগীকে নিজেই আবার ক্যাথালক পড়িয়ে বেডে দেন। ওই মায়ের বুকে পর্যাপ্ত দুধের জন্য সুকদেব মন্ডল তাকে একটি ইউয়ানি হারবাল ঔষধ প্যাডে লিখে দেন। ঔষধ সেবনের একদিনের মধ্য ওই মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতাল থেকে মাত্র একশত ফুট ব্যবধানে অবস্থিত ওই ক্লিনিকে সল্প শিক্ষিত ওই কথিত চিকিৎসক সুকদেব দিনের পর দিন চালিয়ে আসছেন এসব কর্মকান্ড।
নাম না প্রকাশ শর্তে একাধিক ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালি ওই কথিত চিকিৎসক সুকদেব ওই ক্লিনিকের তিনিই সর্বেসর্বা। নামমাত্র ধার করে ডাক্তার এনে ক্লিনিকের আয়াদের সাথে নিয়ে করে থাকেন সার্জনের কাজ। যে সার্জন টিমের পুরো নেতৃত্ব থাকে তার। সিজার শেষে কোন প্রশিক্ষিত নার্স না দিয়ে তিনিই আবার ক্যাথেটার পড়ান গর্ভপাত করা ভর্তি মায়েদের। এতে অনেক সময় ভিভ্রান্তিতে পড়েন রোগীর স্বজনরা।
মাত্র এস,এস,সি পাশ করে কিভাবে সিজারিয়ান অপারেশন করান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এ কাজে বিশ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। আমি ডাক্তার অরুন মন্ডল সহ বড় বড় ডাক্তারের সাথে সার্জন টিমে কাজ করি। এ কাজে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আপনার কোন সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এস,এস,সি পাশ করেছি। আমার ডি,এম,এফ এবং এল,এম,এফ সনদ রয়েছে।
নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালের প:প: স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, আমার হাসপাতালের সব নার্সেরা সব কাজই করতে পারে। ওই প্রাইভেট ক্লিনিকের সুকদেব যা বলেছে সবই মিথ্যা। আমি তার কাছে সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বদনাম করার বিষয়ে জানতে চাইব।
আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ,পিরোজপুর।