December 30, 2024, 5:47 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিকদের মিলন মেলায় আহবায়ক নজরুল চেয়ারম্যান মধুপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে  ৫০,২০০ টাকা জরিমানা সুজানগরের শীতার্তদের পাশে ছাত্রদল নেতা সৌরভ নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা সাউন্ড ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ বানারীপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী গুরুতর আহত কালীগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন
লক্ষ্মীপুরে শিশু হত্যার দায়ে সৎ মায়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরে শিশু হত্যার দায়ে সৎ মায়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড

নাজিম উদ্দিন রানাঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিশু আহমেদকে (৩) লাথি মেরে হত্যার পর শয়নকক্ষে খাটের নিচে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনায় সৎ মা কহিনুর বেগমকে (২৬) ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষিপ্ত হয়ে কহিনুর শিশু আহমেদকে লাথি মারলে সে মারা যায়। পরে মরদেহ বসতঘরে মাটিতে পুঁতে রাখে। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলার সময় থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। রায়ের সময়ও তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কহিনুর রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেন কুট্টির মেয়ে।

মামলার বাদী মিরন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়চৌ গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত কহিনুর বাদী মিরনের দ্বিতীয় স্ত্রী।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, মিরন ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি করেন। পরিবারিক কলহের প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আহমেদ তার প্রথম সংসারের ছেলে। কিছুদিন পর মিরন রামগঞ্জের কহিনুরকে বিয়ে করে। শিশু আহমেদসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ জুলাই স্ত্রী-সন্তানকে রেখে তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান। ১০ আগস্ট আহমেদকে নিয়ে কহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুরে তার বাবার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ২৭ আগস্ট কহিনুর তার স্বামীর বাসায় আসেন। এরপর মিরনকে তিনি জানান আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একইদিন ঢাকা থেকে এসে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ছেলেকে পাননি। এতে ২৮ আগস্ট হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। পরদিন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বাসায় গিয়ে কহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন। কহিনুর পুলিশকে জানান, ২৬ আগস্ট দিবাগত রাত ২ টার দিকে পেটে লাথি দিলে আহমেদ মারা যায়। পরে দা দিয়ে খাটের নিচে গর্ত করে তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। পরে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় ২৯ আগস্ট বিকেলে দরবেশপুর এসে কহিনুরের বাবার বাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচে পুঁতে রাখা আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন মিরন বাদী হয়ে কহিনুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

একই বছর ৩০ অক্টোবর রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস আদালতে আসামি কহিনুরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD