তারাগঞ্জে পানিবন্দি মানুষদের খোঁজখবর নিতে ছুটে বেড়াচ্ছেন ইউএনও রুবেল রানা

খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি
তারাগঞ্জে টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক ও দিনমজুরেরা। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আবাদের জমিগুলো প্লাবিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। এ ছাড়া তারাগঞ্জের সড়কসহ অধিকাংশ জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে আজ রোববার বিকাল পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণে বাজারের প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনের পচা দুর্গন্ধযুক্ত পানি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ভেসে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তারাগঞ্জের মডেলপাড়া মাছুয়াপাড়াসহ বাজার থেকে পুরাতন চৌপতির সড়কের দুই পাশের বাড়ির গুলোতে হাটু পরিমাণ পানি জমে আছে কিছু জায়গায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় পানি কম নিষ্কাশন হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪০টি পরিবার।
এ সময় কথা হয় রিকশাচালক জাকারিয়ার সাথে । তিনি বলেন, ‘টাকার প্রয়োজনে সকালে বাড়ি থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি, তবে বাজারে আজ তেমন একটা যাত্রী নেই। তাই দুপুর পর্যন্ত ২০০ টাকাও ইনকাম করতে পারিনি।’

কুর্শা ইউনিয়নের জোদ্দি পাড়া গ্রামের ফারুক মিয়া নামের এক নির্মাণশ্রমিক বলেন, ‘সকালে কাজ করার জন্য তারাগঞ্জের থানাপাড়া এসেছিলাম। বৃষ্টির কারণে কাজ করতে পারলাম না। তিন ঘণ্টা বসে থেকে ভিজে ভিজে বাড়ি চলে যাচ্ছি।
ওই সময় দেখা যায় তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা কুর্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজারুল সরকারকে সাথে নিয়ায় পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নিতে ছুটে এসেছেন গ্রামে ।

এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, পানিবন্দী মানুষদের খোঁজখবর নিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছি খুব দ্রুত পানিবন্দী গ্রামগুলো থাকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *