December 21, 2024, 4:25 pm
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি পদে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। সাংগঠনিক নেতাদের মতামত, কর্মী-সমর্থকদের মানসিকতা, আদর্শিক ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতা এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন বিবেচনা করে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হলে জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতি হওয়া অনেকটা নিশ্চিত। স্থানীয়রা জানান, গোদাগাড়ী উপজেলায় সাবেক ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত, জামায়াতের সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত আলাল উদ্দিন,আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ডিআইজি মতিউর রহমান প্রমুখগণের জন্মভূমি। সেখানে যুবলীগকে নেতৃত্ব দেয়া নেতা জাহাঙ্গীর আলম। রাজনৈতিক সচেতন গোদাগাড়ী উপজেলায় যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে উঠে আশা পরিক্ষিত নেতৃত্ব জাহাঙ্গীর আলম। তার মতো নেতার হাতে জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব দেয়া হলে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড আরো গতিশীল ও জোরদার হবে এটা নিয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই।এছাড়াও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সভাপতি পদে তিনিই একমাত্র প্রার্থী হয়েছেন। ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের (ইউপি) যুবলীগের জনপ্রতিনিধি নেতাদের একটা বিশাল অংশের সমর্থন রয়েছে তার ওপর। যেটা সভাপতি হবার দৌড়ে অন্যদের থেকে তাকে এগিয়ে রেখেছেন।
জানা গেছে, আগামি ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। তৃণমুলের ভাষ্য এবার সম্মেলনের মুল প্রতিপাদ্য হচ্ছে আর্দশিক ও মুলধারা ভিত্তিক তরুণ নেতৃত্ব নির্ধারণ। স্থানীয়রা জানান, অনেক বড় নেতা অথচ তৃণমূলে সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অনুপস্থিত, নেতাকর্মীদের বিপদে কাছে না পাওয়া এবং নৌকা ও নৌকাবিরোধীদের সঙ্গে সক্ষতা রেখে চলা এমন নেতৃত্ব চাই না। তারা চাই আর্দশিক নেতৃত্ব যে নেতৃত্ব কখানো নৌকার (দলীয় এমপিবিরোধী) বিপক্ষে অবস্থানকারিদের সঙ্গে সক্ষতা রাখবে না।
জানা গেছে, জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এবার গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আদর্শিক এবং তরুণ নেতৃত্ব জাহাঙ্গীর আলমের কোনো বিকল্প নাই। ফলে সিলেকশন বা ইলেকশন যাই হোক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতি হওয়া প্রায় নিশ্চিত এমনটা মনে করছেন মাঠপর্যায়ে নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা। সম্মেলনে এবার সভাপতি
নির্বাচনে আদর্শিক ও নীতিনৈতিকতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর আলম অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। কারণ জাহাঙ্গীর আলমের রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, নির্বাচনী কৌশল, গ্রহণযোগ্যতা ও আদর্শ ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই। এছাড়াও আদর্শিকতা, নেতৃত্বগুন, রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার কৌশল ইত্যাদি বিচার-বিশ্লেষণে অন্যদের থেকে তিনি যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন তার নেতৃত্ব গুন নিয়েও প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই। জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে নেতৃত্ব দিতে একজন নেতার যেমন পারিবারিক ঐতিহ্য, আর্থিক সচ্ছলতা, সামাজিক পরিচিতি, উন্নয়ন মানসিকতা,
পেশী শক্তি, কর্মীবাহিনী ইত্যাদি প্রয়োজন তার সবগুলো জাহাঙ্গীর আলমের মাঝে বিদ্যমান রয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।#