December 21, 2024, 3:06 pm
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে । এবারের সম্মেলনে যুবলীগকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাধান্য পাচ্ছে আদর্শিক, কর্মী ও জনবান্ধব তরুণ নেতৃত্ব। এদিকে সম্মেলনে তানোর উপজেলা যুবলীগ সব থেকে বেশী নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে উপজেলা যুবলীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। বিরাজ করছে, উৎসবের আমেজ। ইতমধ্যে উপজেলা যুবলীগ
মাসব্যাপী কর্মসুচি ঘোষণা দিয়ে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের (ইউপি) বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিটি গঠন, বর্ধিতসভা, কর্মীসভা, প্রস্তুতি সভা ও পরিচিতি সভা ইত্যাদির মাধ্যমে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের সক্রীয় এবং ঐক্যবদ্ধ করেছে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল বাসার সুজন ও কামারগাঁ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলী প্রামানিক প্রমুখগণ।
সাংগঠনিক নেতারা এসব কর্মসুচিতে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় সাংসদের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখছেন। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও রাজনীতিতে ফিরেছে ফের
প্রাণচাঞ্চল্য। অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগ নিস্ক্রীয় তাদের তেমন কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুবলীগ এখন নবজাগরণ।
জানা গেছে, আগামি ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,
এসব কর্মসুচি গ্রহণের ফলে দীর্ঘদিন পর যুবলীগের রাজনীতিতে রাতারাতি হয়েছে নাটকিয় পরিবর্তন হয়েছে, নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণচান্চল্য। তৃণমুলের নেতাকর্মীরা ঐক্যর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ভুলে একে-অপরকে কাছে টানছে, এতে তাদের মধ্য দীর্ঘদিনের বিরাজমান ক্ষোভ-অসন্তোষের বরফ গলতে শুরু করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে, চাওয়া-পাওয়া না পাওয়া ও মান-অভিমানসহ নানা কারণে যেসব নেতাকর্মীরা এতোদিন নিস্ক্রীয় ছিল।এসব কর্মসুচি ঘিরে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতি পুর্নআস্থা রেখে তারাও নবউদ্দ্যেমে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে মুল ধারায় ফিরে এসেছে, তারা বুঝতে পেরেছেন মুল স্রোতের বিপরীতে বেশী সময় টিকে থাকা যায় না। যুবলীগের একটাই ভিশন আগামী সাধারণ নির্বাচনে ফারুক চৌধুরীকে আবারো বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করা। কারণ এখানে এখানো এমপি ফারুক চৌধুরীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। ফলে রাজনীতির মাঠে যে যতো কথা বলুক আর বগী আওয়াজ তুলুক, এমপি ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বের প্রতি সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ এসব নেতাকর্মীর একটাই প্রত্যাশা আগামি সাধারণ নির্বাচনে যেকোনো মুল্য তাদের প্রাণের নেতা ফারুক চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত করা।#