December 21, 2024, 2:37 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজজামান শিপনের মতবিনিময় বাবুগঞ্জে ন্যায়ের পথে সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস পালিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে: হাসান জাফির তুহিন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ডের জন্ম হতো না: সেলিম রেজা হাবিব  সুজানগরে ৩৩ শিক্ষার্থীকে পবিত্র কোরআন শরীফের সবক প্রদান সুজানগর মহিলা কলেজের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন তানোরে বিএমডিএ চত্ত্বরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে ঝিনাইদহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় ভারতীয় নাগরিক আটক
বাগেরহাট রামপাল এলাকায় নতুন কৌশলে মানুষের মোটা অংকের টাকা প্রতারণার অভিযোগ

বাগেরহাট রামপাল এলাকায় নতুন কৌশলে মানুষের মোটা অংকের টাকা প্রতারণার অভিযোগ

হেলাল শেখ,
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাগেরহাটের রামপাল এলাকায় নতুন নতুন কৌশলে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ৪ প্রতারকের বিরুদ্ধে।
রামপাল থানায় অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, ১নং আসামী মিজানুর রহমান (৪৫) পিতা মোবারফ শেখ, সাং গ্রাম-শ্রীরম্বা, থানা-রামপাল, জেলা বাগেরহাট, ২। জনৈক ওলিউল্লাহ, এ্যাডমিন অফিসার, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ৩। আলামিন, সাং দেওয়াপাড়া, ফকিরহাট, বাগেরহাট এবং ৪। চট্রগ্রামের জনৈক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করার জন্য লিখিত একটি এজাহার দায়ের করছি যে, এই উল্লেখিত ৪জন আসামী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ সাহেব আরো বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম “রূপসা র‌্যানস লিঃ। কোম্পানির সম্মানিত চেয়ারম্যান এস এম মনির-উজ-জামান-বিপিএম, পিপিএম-সাবেক ডিআইজি। আমি আবেদ আলী শেখ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জনাব আবুল কাশেম ও জনাব কামরুজ্জামান কোম্পানির পরিচালক। উল্লেখ্য গত ২২/০৭/২০২৩ তারিখ হতে চট্রগ্রামের জনৈক লিটন আমাদের কোম্পানির পরিচালক জনাব আবুল কাশেমকে জানান রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫০০ (পাঁচ শত) কোটি টাকার ক্রাপ এলুমিনিয়ামের তার এবং কন্টেইনার বিক্রি হবে। বিষয়টি জনাব আবুল কাশেম আমাকে এবং কামরুজ্জামানকে জানান। আমরা সরেজমিনে উক্ত মালামাল দেখার জন্য গত ০১/০৮/২০২৩ইং তারিখে ঢাকা হতে দুপুর ১২টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে যাই। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ ফুট দূরে গাড়ি থামিয়ে জনৈক লিটন সেখানে রোডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনৈক আল-আমিনের সাথে হ্যান্ডশেক করেন এবং কথাবার্তা বলতে থাকেন। এরপর আল-আমিন কাকে যেন ফোন করেন। তারপর আমাদেরকে জানান যে, ওলিউল্লাহ সাহেব গেটে পাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে-চলেন। জানতে চাইলাম ওলিউল্লাহ কে? তখন আলামিন এবং লিটন জানান যে, তিনি (ওলিউল্লাহ) তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ্যাডমিন অফিসার। তারপর গাড়ি গেটের কাছে পৌঁছালে ওলিউল্লাহ গেটে পাসটি আমাদের গাড়ির ড্রাইভারের নিকট দিয়ে দেন। যথারীতি আমরা গেট পাস দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ি। তখন হালকা বৃষ্টি থাকায় আলামিন এবং ওলিউল্লাহ গাড়িতে বসেই আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে স্তÍপ আকারে রাখা ক্রাব এবং এ্যালুমিনিয়ামের তার ও কন্টেইনার দেখান। মালামাল দেখা শেষ করে আমরা ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসি। তখন ওলিউল্লাহ এবং আলামিন আমাদেরকে বলেন, এইসব মালামাল বিক্রির দায়িত্ব জনৈক মিজান সাহেবের। প্রতারকরা বলেন যে, আপনারা মিজান সাহেবের সাথে দামদর ঠিক করেন এবং যাবতীয় টাকা-পয়সা তাকে পরিশোধ করবেন। আমরা এখান থেকে মালামাল ডেলিভারি দেবো।
অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ আরো বলেন, মালামালের দামদর ঠিক করার জন্য সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য জনৈক লিটন এবং আলামিন আমাদেরকে নিয়ে মিজানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। মিজানের বাড়িতে বসে ক্রাবের দাম ৫২০০০/ (বায়ান্ন হাজার) টাকা টন, এ্যালুমিনিয়াম ৭৫০/(সাত শত প াশ টাকা প্রতি কেজি ও প্রতি কন্টেইনার ২,২৫০০০/ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর জন্য নগদ ১০০০০/ (দশ হাজার) টাকা বায়না করা হয়। তখন মিজান বলেন, মিয়া ভাই মাল গোছানোর জন্য লেবার লাগিয়ে দেবো? আমি বলি অবশ্যই। মিজান লেবারদের জন্য কিছু টাকা পাঠানোর কথা বলেন। আমি বলছি যে, কোনো অসুবিধা নেই, টাকা যা লাগে পাঠিয়ে দেবো। বিগত (০২/০৮/২০২৩ইং) তারিখে মিজানুর রহমানের সোনালী ব্যাংকের ২৯০৬৬০১০১১১০৯ নং হিসাবে ৯০০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা প্রেরণ করি। এছাড়া ০৪/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-৫০০০০/- (প াশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি। ০৫/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-১০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রেরণ করি। ০৬/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ১০,০০০০০/-(দশ লাখ) টাকা প্রেরণ করি। ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ৩২,০০০০০/- (বত্রিশ লাখ টাকা এবং ০৭/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং-০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ-৮,০০০০০/- (আট লাখ) টাকা প্রেরণ করি। মোট ৫২,৫০০০০/-(বায়ান্ন লাখ প াশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি।
উক্ত অভিযোগকারী উল্লেখ্য করেন যে, জনৈক লিটন, যিনি এই মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন, তিনি এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, আমরা তাকে বিশ্বাস করার সুবাদে তার দেওয়া তথ্যে আমরা বিশ্বাস করে মিজানের হিসাবে উক্ত ৫২ লাখ টাকা প্রেরণ করি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন জানান যে, মালামাল গোছানো হচ্ছে। গত ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে লিটন জানান যে, ১০ (দশ) ট্রাক মাল লোড হয়েছে দ্রুত মিজান সাহেবের হিসাবে আরো টাকা পাঠান। ওই দিনই তার তথ্যের ভিত্তিতে ২টি আর টি জি এস-এর মাধ্যমে (৩২,০০০০০+৮,০০০০০) টাকা প্রেরণ করি।০৮/০৮/২০২৩ তারিখে ক্রাবের ট্রাক ঢাকা না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজান আমাকে জানান যে, মিয়া ভাই ট্রাক আজকে (০৯/০৮/২০২৩তারিখ) মাল যাবে। তারপর ১০/০৮/২০২৩ তারিখেও কোন ট্রাক ঢাকাতে না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজানসহ প্রতারকরা পূর্বের একটি পার্টির কথা বলে উল্টাপাল্টা কথা বলে তালবাহানা শুরু করে। তিনি আরো বলেন, এই ব্যাপারে ২১/০৯/২০২৩ইং তারিখ বাগেরহাটের রামপাল থানায় মামলা দায়ের করার জন্য একটি এজাহার করেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই থানায় এজাহার করেছি। জানা গেছে, উক্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে, এ বিষয়েও তদন্ত চলমান।
এ বিষয়ে রামপাল থানা পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে, তারা বলেন, অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। উক্ত প্রতিবেদন ধারাবাহিক পর্ব-১।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD