December 21, 2024, 4:17 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদে বড় দিন উপলক্ষে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য “ধানের গোলা” মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃ-ত্যু কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী জামিনী কান্ত, গ্রেফতার  রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাস ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘ-র্ষে নিহ-ত ৩ ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজজামান শিপনের মতবিনিময় বাবুগঞ্জে ন্যায়ের পথে সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস পালিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে: হাসান জাফির তুহিন
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও চরম সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারী এই দপ্তরটি নিজের এনজিওতে পরিণত করেছেন। সৃজনী এনজিওর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন ও হিসাব রক্ষক অর্জুন কুমারকে জেলা পরিষদের অফিসে আলাদা রুমে বসিয়ে ভুয়া ও কল্পিত প্রকল্প বানিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করছেন। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে জেলা পরিষদের ৭ জন নির্বাচিত সদস্য যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোরাদিম মোস্তাকিম মনির। এ সময় পরিষেদের হরিণাকুন্ডুর সদস্য আলাউদ্দীন, কালীগঞ্জের জসিম উদ্দীন সেলিম, মহেশপুরের লিটন মিয়া, কোটচাঁদপুরের রাজিবুল কবীর, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনোয়ারা খাতুন ও অনিতা বিশ^াস উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ ছাড়াই একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে টাকা লোপাট করছেন হারুন অর রশিদ। শহরের হামদহ মনুমেন্টের পাশে একক সিদ্ধান্তে অবৈধভাবে রাস্তার পাশে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করে অবৈধ ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ধোপাঘাটা ব্রীজের পূর্বপাশে মার্কেট নির্মান ও মাটি ভরাটের কথা বলে জেলা পরিষদের ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এডিপি এবং রাজস্ব থেকে দুস্থ্য মহিলাদের সেলাই মেশিন দেয়ার কথা বলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বাইসাইকেল কেনার নামে প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জেলা পরিষদের নামাজ ঘর, অফিস, ডাকবাংলো, ছাদ বাগান ও অফিস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যান তার নিজ প্রতিষ্ঠান সৃজনি প্রিন্টার্স ও তাজ ফিলিং স্টেশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ অফিস চত্বরে ০৮/১০ লাখ টাকার কাঠ নাম মাত্র মূল্য দেখিয়ে রাতের আঁধারে পাচার করেছে। গত জানুয়ারী মাসে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ৬ হাজার পিচ কম্বল কেনা দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন। এ ভাবে তিনি বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেরনে বলা হয় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে বিগত পরিষদের সময়কার টেন্ডারকৃত গাছের ঠিকাদারদের জিম্মি করে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হারুন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে খাল ও পুকুর একক সিদ্ধান্তে ইজারা দিয়ে সরকারী আইন ভঙ্গ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কোন সদস্য’র মতামত নেন না। ্বরং সদস্যদের সাদা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে নিজের ইচ্ছা মত রেজুলেশন তৈরী করে রাজ্স্ব তহবিল থেকে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ এবং একই প্রকল্প বার বার দেখিযে টাকা উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের এই দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিচার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলার চার জন সংসদ সদস্য যৌথ সাক্ষরে গত ৯ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে অবিযোগ করেন। মন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সংসদ সদস্যরা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ নিজের খেয়াল খুশি মতো প্রকল্প গ্রহন করেন, উপদেষ্টা হিসেবে এমপিদের মতামত গ্রহন করেন না। আগের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া নিয়োগকৃত কর্মচারীদের চাকরীচ্যুত করছেন, যা অমানবিক। ঝিনাইদহ যশোর সড়কের কড়াই ও মেহগনি গাছ নামে বেনামে টেন্ডার করে নিজের নামে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার খুদে বার্তা পাঠিয়ে ও কল করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD