December 22, 2024, 6:04 am
এস এম সাইফুল ইসলাম কবির বাগেরহাট :নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ’ (আল-জিহাদি) —এর আটক তিন জঙ্গির নামে বাগেরহাটের রামপাল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) এসআই আ. রহিম চৌধুরী বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০১৩-এ গতকাল রাতে মামলাটি করেন। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আদালতে তোলা হয়েছে।আসামিরা হলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মো. জুয়েল মোল্লা, দুই শীর্ষ নেতা মো. রাহুল হোসেন ও মো. গাজিউল ইসলাম।
চলতি সপ্তাহে বাগেরহাটের রামপাল, জয়পুরহাট ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছিল। জুয়েল বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার আজরা দিয়াপাড়া গ্রামের আ. রশিদ মোল্লার ছেলে। রাহুলের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার সরদার পাড়ায়। আর গাজীউল একই থানার নলডাঙ্গা গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে।
মামলার বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, আটকদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই তিন জঙ্গির বিষয়ে গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এটিইউ—এর ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ (আল-জিহাদি) নামের নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটি গত দুই/তিন মাস ধরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা চালানো। সংগঠনটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না। তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য একত্রিত হচ্ছিলেন এর সদস্যরা।
এটিইউ জানায়, গ্রেপ্তাররা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিলেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জসীম উদ্দিন রহমানি; যিনি বর্তমানে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। মূলত তার বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটি তৈরি করেন জুয়েল। তিনি নিজেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে নয় মাস কারাগারেও ছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। তারা প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিলেন। এই অর্থ দিয়ে তারা অস্ত্র কেনাসহ বোমা তৈরি সরঞ্জাম সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
বাংলা টিমের অনুসারী হলেও নতুন সংগঠন করে নিজস্ব পরিকল্পনায় দেশে সশস্ত্র হামলা পরিচালনার পরিকল্পনা করে আসছিলেন তারা। ইতোমধ্যে অনেক যুবক এ সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেছে বলে দাবি এটিইউ-এর।