December 21, 2024, 4:22 pm
এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:সিঙ্গাপুর থেকে জাপানী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জাপানের তৈরী রিকন্ডিশন গাড়ী নিয়ে মোংলা বন্দরে খালাস করেছে বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ মালশিয়া মালশিয়া স্টার”। এক সাথে এক হাজার ১১১টি গাড়ী নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর বন্দর থেকে মোংলা ও চট্রগ্রাম বন্দরের উদ্দোশ্যে জাহাজটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মোংলা বন্দরে খালাসের জন্য এবারের চালানে ৭৯৫টি গাড়ী খালাস করেছে জাহাজটি। শুক্রবার বিকালের দিকে বন্দরের ৭ নাম্বর জেটিতে এসে ভিরে গাড়ী খালাসের পর শনিবার দুপুরে বন্দর ত্যাগ করে। আমদানীকারক ব্যাবসায়ীরা বলছে, গাড়ী আমদানীর মধ্য দিয়ে এ বন্দরে একটি বড় রাজস্ব আয় হয় সরকারের।
বন্দর ও আমদানীকারক ব্যাবসায়ীরা জানায়, প্রথমে জাপানের নাগোয়া, ইউকোহামা ও ওসাকা বন্দর থেকে এক্সিও, প্রিমিও, এলিয়ন, অ্যাকুয়া, প্রাডো ও মিনিবাসসহ একাধিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ী এনে সিঙ্গাপুরে রাখা হয়। বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীদের আমদানী করা এসব রিকন্ডিশন গাড়ী জাপান থেকে আনা সিঙ্গাপুর বন্দর থেকে ১ হাজার ১১১টি গাড়ী বোঝাই করে বিদেশী জাহাজটি। গত ৯ সেপ্টেম্বর। জাহাজটি সিঙ্গাপুর থেকে গাড়ী নিয়ে বাংলাদেশের মোংলা ও চট্রগ্রাম বন্দরের উদ্দ্যোশে ছেড়ে আসে। পথি মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকালে প্রথমে চট্রগ্রাম বন্দরে ভিড়ে এ থেকে ৩১৬টি গাড়ী সেখানে খালাস করা হয়। এদিন রাতে চট্রগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি (১৫ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বিকালের দিকে বন্দরের ৭নম্বর জেটিতে এসে ভিড়ার পর পরই (দ্বিতীয় সিপ্ট) বিকালের পালা থেকে খালাস কাজ শুরু করে পন্য খালাশকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা ট্রেডার্স লি: এর প্রতিনিধিরা। এখানে খালাস করা হবে ৭৯৫টি রিকন্ডিশন বিভিন্ন মডেলের গাড়ী। মোংলা বন্দর জেটিতে এগুলো খালাস করতে ১৬ ঘন্টা সময় লেগেছে বলে জানায় জাহাজটির শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ। গাড়ীগুলো খালাস করে তা বন্দর জেটির ইয়ার্ড ও সেডে সারীবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে দেশীয় আমদানীকারক ব্যাবসায়ীদের ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শো-রুমে তা নিয়ে বিক্রি করা হবে বলেও জানায় তারা। দেশে গাড়ী আমদানী করার মাধ্যমে মোংলা বন্দরে এ থেকেই একটি বড় আকারের রাজস্ব আয় করে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ১৫ আগষ্ট প্রায় ৮০০ গাড়ী নিয়ে মোংলা বন্দরে খালাস করেছিল “এমভি মালশিয়া স্টার” নামের এ বিদেশী বানিজ্যিক এ জাহাজটি।
স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ও মেসার্স ট্রাস্ট অটো কার কোম্পানী লিঃ এর ব্যাবস্থাপক সাইফুল ইসলাম সম্রাট বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়া আর সড়ক পথে অবকাঠামোগত দিগ ঠিক হওয়ায় ঢাকার সাথে মোংলা বন্দরের দুরত্ব কমেছে আগের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এছাড়া আগে মোংলা বন্দর থেকে ঢাকায় পৌছাতে সময় লাগতো ১২/১৪ ঘন্টা। এখন সেখানে মাত্র ৩ঘন্টায় ঢাকায় পৌছানো যায়। এছাড়া দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মোংলা বন্দর ব্যাবসায়ীদের অনেক সুযোগ সুবিদা বেশী থাকায় দেশ-বিদেশী আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়ীরা এখন মোংলা বন্দরকেই বেছে নিয়েছে। এছাড়া দেশের বড় বড় মেঘা প্রকল্পের মেশিনারিজ পন্য এখন বেশীর ভাগই মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হচ্ছে। তাতে ব্যাবসায়ীদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানায় তিনি।
২০০৯ সালের ৩ জুন হক্স-বে অটোমোবাইল কোম্পানি প্রথম ২৫৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরে গাড়ি রাখার কার্যক্রম শুরু হয়। আর এখন দেশের আমদানী করা ৭০ শতাংশ গাড়ী মোংলা বন্দর দিয়েই খালাস করা হচ্ছে।