December 21, 2024, 4:58 pm
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৩ তম চালানের মেশিনারিজ পন্য নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করেছে লাইব্রেরিয়ান পতাকাবাহী বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ “এমভি সাপোডিলা”। শুক্রবার বিকালে বন্দরের ৮নম্বর জেটিতে এসে জাহাজটি ভিড়েছে।
পরে বিকালের পালা থেকে পন্য খালাস শুরু করা হয়। এবারের চালানে ৩২৪৩.৩৫৪ মেট্রিক টন মেশিনারিজ রয়েছে। বিদেশী পতাকাবাহী জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট “মেসার্স ইন্টার পোর্ট শিপিং এজেন্সি” লিঃ এর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৬ জুলাই রাশিয়ার সেন্ট পিটারবার বন্দর থেকে জাহাজটিতে মেশিনারিজ পন্যগুলো বোঝাই করা হয়।
পরে বেলজিয়াম হয়ে ৪টি সাগর পথ পাড়ি দিয়ে রুশ পন্য নিয়ে প্রথমে ভারতের কলকাতা আসে। সেখান থেকে ট্রানজিট হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে সরাসরি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে “এমভি সাপোডিলা” নামের লাইব্রেরিয়ান পতাকাবাহী বিদেশী বানিজ্যিক এ জাহাজটি। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ পন্যগুলো খালাস করতে জাহাজটি ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে এসে পৌছায়।
রুপপুরের পন্য নিয়ে আসা এ জাহাজটি রাশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে পৌছাতে এক মাস ১৫ দিন সময় লেগেছে বলেও জানায় শিপিং
এজেন্ট’র প্রতিনিধিরা। তারা আরো জানায়, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জন্য এবারের ৫৩ তম চালানে আনা ৯৩৪টি প্যাকেজে ৩ হাজার ২৪৩ দশমিক ৩৫৪ মেট্রিক টন মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ রয়েছে।
বন্দর জেটিতে নঙ্গরের পর শুক্রবার বিকালের পালা থেকে পন্য খালাসের কাজ শুরু করে শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অভিরত এজেন্সি লিঃ প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ জাহাজের মেশিনারিজ পন্যগুলো খালাস করতে সময় লাগবে মাত্র ৩/৪ দিন বলে জানায় তারা। খালাস করা কিছু মেশিনারিজ পণ্য বন্দর জেটির পৃথক সেডে মজুদ করে রাখা হবে।
আর কিছু নদীতে রাখা বার্জে লোড করা হবে। পরে পণ্যগুলো গাড়ী বোঝাই করে সড়ক পথে ও নৌপথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৫৩টি জাহাজ বোঝাই করে রাশিয়ান থেকে মোট ৮৮ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন পন্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হলো।
স্থানীয় মেসার্স ইন্টার পোর্ট শিপিং এজেন্সির প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ মামুন বলেন, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা পন্য নিয়ে যতগুলো বিদেশী জাহাজ বাংলাদেশে আসছে তার সব কটি জাহাজই মোংলা বন্দর দিয়ে খালাসন হয়েছে। এখানে জাহাজ আসলে দ্রুত খালাস কাজ সম্পন্ন করা যায় এবং পদ্মা সেতুর হওয়ার ফলে সল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্প এলাকায় পৌছে দেয়া যায় বলেই দেশের সব কটি মেঘা প্রকল্পের মালামাল মোংরা বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়েছে। আশা করি আগামীতেও এ প্রকল্পের যতগুলো জাহাজ আসবে তাও মোংরা বন্দর দিয়ে খালাস করা হবে বরেও জানায় তিনি।
এর আগে গত ২৬ জুলাই ৫২তম চালানে ৪৪২ প্যাকেজে ১২৭০.৪০ মেট্রিক টন বিভিন্ন মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে
খালাস করেছিল বিদেশী জাহাজ এমভি ্য়ঁড়ঃ;এমভি ইসানিয়া”।
(এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির)
বাগেরহাট সংবাদদাতা