December 22, 2024, 6:18 am
মহিউদ্দীন চৌধুরী:
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও বরকল ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান,চন্দনাইশ সমিতির সহ সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুর রহিম চৌধুরী বলেছেন,স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের পাশাপাশি স্মার্ট রাজনীতিসহ অর্থনীতিকে স্মার্ট করা এবং ৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি নানানভাবে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। বিধবা ভাতা, বয়ষ্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীর ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা চালু করেছে। এসময় চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম চৌধুরী আরো বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র সর্বসাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী, ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকাকে বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী বলেন,একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, কারণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি আমি। শুধু আমি না,আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। শুধু আওয়ামী রাজনীতি করি বলেই আমি বিভিন্ন সময় মামলা হামলার শিকার হয়েছি। রাজনীতি করতে গেলে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতা থাকবে,প্রতিযোগীতা থাকবে এটা স্বাভাবিক, কিন্ত কোন কারনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী যদি নিজেদের মানুষ সম্পর্কে অপপ্রচার চালায় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের কতটুকু সমর্থন করে সেটাই আমার প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সুএ জানায়, চন্দনাইশের বরকল ইউনিয়নে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের মনোয়নের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন সমাজসেবক আবদুর রহিম চৌধুরী। এইসময় আ.লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন চন্দনাইশ থানা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদাউসুল আলম আর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) পক্ষে ভোটে লড়ছিলেন নাছির উদ্দান। এলাকার অন্যান্য শীর্ষ নেতারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তখন তৃনমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আবদুল রহিম চৌধুরীকে জানালেন, যেহেতু জনসমর্থন বেশি রয়েছে সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান পদটি রক্ষার্থে তাকে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে
লড়ার জন্য। অন্যথায় পদটি চলে যাবে এলডিপি’র দখলে। তখন তিনি
সিদ্ধান্ত নিলেন নৌকা প্রতীক না পেলেও ভোটে লড়বেন। ভোটযুদ্ধে লড়ে তৃনমুল আওয়ামী লীগের সমর্থনে বিপুল ভোটে জিতলেন তিনি।
এবিষয়ে তৃনমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এখন সুবিধাবাদীদের অপবাদের শিকার হচ্ছেন তিনি।
চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম প্রসঙ্গে
চন্দনাইশ উপজেলা আ. লীগের সাধারন সম্পাদক আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আবদুর রহিম চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্রলীগের (আ.স.ম সাইফুদ্দিন খালেন ও আবু আহমেদ জুনু প্যানেল) কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। সে নিরেট আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমি তার বিরুদ্ধে আনীত চিহ্নিত কুচক্রীমহলের মিথ্য অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সমর্থন থাকার কারণে আবদুর রহিম মামলা হামলার শিকার হন। কেবল শুধু তিনিই নয়, তার পরিবারের সবাই আওয়ামী পন্থী রাজনীতি করতো তারাও ওইসময় বিভিন্ন মামলা ও হামলায় জড়িয়ে হয়রানির শিকার হয়।উল্লেখ্য চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম চৌধুরী লায়ন্স ক্লাবের সদস্য, চামদরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়েী দুই বারের সভাপতি ছিলেন। তিনি ব্যবসায়িক জীবনে ও সফল একজন ব্যবসায়ী।বর্তমানে তিনি ক্লিয়ার টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড,ড্রেস মি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড,জে,কে সির্ট প্রেবরিক লিমিটেড,আকসা ইন্টান্যাশনাল,এ আর এগ্রো ফার্মের ব্যবস্হাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।এছাড়া ও তিনি বিভিন্ন শিপ্প প্রতিষ্টানের সাথে জড়িত।