গোদাগাড়ীতে নবাগত ইউএনওর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভা অনু্ষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার নতুন অডিটারিমামে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার প্রধানদের নিয়ে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে এক মতবিনিময় সভা করেছেন ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ দুলাল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু, শহিদুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকসেদুল হাসান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলাকে শিক্ষাবান্ধন উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এর জন্য আপনাদের সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সময় সূচি সরকারী নির্দেশনা মতে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত হবে। কোনভাবে এর ব্যতিক্রম করা যাবে না। আমি আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিকালে যাব, যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না পাই। সরকারি নির্দেশনামতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না। আপনি বেতনভাতা নিবেন আর দায়িত্ব পালন করবেন না, চাকুরী বেতন কি হালাল হবে, এটা হতে পারে না। আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন সমস্যা থাকলে আমাদেরকে বলবেন, আমরা সে সমস্যা সমাধান করতে চেষ্টা করবো ইনসাল্লাহ। রাজশাহী শিক্ষা নগরী, এ জেলায় ভাল ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ এবং জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

৬ষ্ঠ, ৭ম. শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম চালু হয়েছে সেটা যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। কম্পিউটার ল্যাব, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ যে সকল ল্যাব রয়েছে সেগুলি সরকার কোটি, কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মান করে দিয়েছেন, সে গুলি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা না হয় আর শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে না পারেন তবে সত্যিই দুঃখজনক। এব্যপারে সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যদি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির জ্ঞান না পায় তবে কিভাবে স্মাট বাংলাদেশ গড়া হবে।

উপজেলার সর্বচ্চ কর্মকতা আরও বলেন, বাল্য বিয়ে, যৌতুক, মাদক, জঙ্গিবাদের ব্যপারে কিছু সময় শ্রেণিকক্ষে আলোচনা করতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মেধা ১ ভাগ আর পরিশ্রম হচ্ছে ৯৯ ভাগ, যারা এ কাজটি করতে পারবে তারা জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়া লিখা করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা বোঝা না হয়। তাদেরকে সম্পদ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। সমাজ, দেশ, জাতী তাদের দিকে তীর্থের কাকের ন্যায় চেয়ে আছেন। সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ বিশেষ প্রয়োজন। শিক্ষকের সমাজের সবচেয়ে সম্মানী ও গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি, যে এলাকায় যাই সে এলাকায় আগে শিক্ষকদের সাথে কথা বলি যেন সঠিক তথ্যটি বের করা সম্ভব হয়।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *