December 21, 2024, 3:58 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদে বড় দিন উপলক্ষে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য “ধানের গোলা” মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃ-ত্যু কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী জামিনী কান্ত, গ্রেফতার  রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাস ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘ-র্ষে নিহ-ত ৩ ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজজামান শিপনের মতবিনিময় বাবুগঞ্জে ন্যায়ের পথে সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস পালিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে: হাসান জাফির তুহিন
মোরেলগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকে গরিবের ডাক্তার খ্যাত ফারুক হোসেন গরিব অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল

মোরেলগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকে গরিবের ডাক্তার খ্যাত ফারুক হোসেন গরিব অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট:গরিব অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থলগরিবের ডাক্তার খ্যাত ফারুক হোসেন (সিএইচসিপি) গাবতলা কমিউনিটি ক্লিনিকে রাতদিন মানুষের সেবায় ব্রত থাকার পরও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে ফোন আসা মাত্রই ছুটে যান নিজের ঘুম আর বিশ্রামকে জলাঞ্জলি দিয়ে।এতে করে সে নিজেই কয়েক বার অসুস্থ হয়ে পরেন। যেখানে বড় বড় ডিগ্রী নেওয়া ডাক্তারদের উচ্চ মুল্যের ফি আর বাজে ব্যবহারে অতিষ্ঠ সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। তখন শেষ ভরসা ওই গরিবের ডাক্তার খ্যাত ফারুক হোসেন (সিএইচসিপি) । বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা করে তিনি অসহায় ও দুস্থ রোগীদের আস্থা অর্জন করেছেন। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কমিউনিটি ক্লিনিক। গ্রামীণ নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবার ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো । সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ডায়রিয়া কিংবা অন্যান্য অসুখ হলেও এসব ক্লিনিকে ছুটে যান তারা। একদম হাতের কাছে এসব চিকিৎসাসেবার সুযোগ পেয়ে তারা অত্যন্ত খুশি। কমিউনিটি কিনিকগুলো এখন হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরতার প্রতীক।গরিবের ডাক্তার খ্যাত ফারুক হোসেন (সিএইচসিপি)দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আর হাত জশ আর ভাল ব্যবহারের কারনেই ধনি-দরিদ্র সকল মানুষের কাছেই সমান জনপ্রিয়।বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলেগাবতলা কমিউনিটি ক্লিনিকে বাসে ভবনে রোগী দেখেন।গ্রামীণ নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবার ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো । সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ডায়রিয়া কিংবা অন্যান্য অসুখ হলেও এসব ক্লিনিকে ছুটে যান তারা। একদম হাতের কাছে এসব চিকিৎসাসেবার সুযোগ পেয়ে তারা অত্যন্ত খুশি। কমিউনিটি কিনিকগুলো এখন হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরতার প্রতীক।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিতি, ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে মোরেলগঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। নিজ এলাকাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী। গ্রামের হতদরিদ্র মহিলা, শিশু ও কিশোরীরা এখন হাতের কাছে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে এলাকার ৯৫ শতাংশ লোক সেবা নেয়। ক্লিনিকগুলো বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় এবং বিনামূল্যে সাধারণ রোগের ওষুধ পাওয়া যায় বলে দিন দিন সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। জেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে জানা যায়, এখানে সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় গর্ভবতী মহিলাদের প্রসব পূর্ব প্রতিষেধক টিকাদানসহ প্রসব পরবর্তী নবজাতকের সেবা, সময়মত যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কফ, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হাম, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক টিকা দেয়াসহ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয় এই কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে। জনগণের জন্য বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণের জন্য ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সেবা প্রদান করা হয় এই ক্লিনিক থেকেই। তাছাড়া, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, কালাজ্বর, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং সেগুলোর সীমিত চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। সাধারণ জখম, জ্বর, ব্যথা, কাটা, পোড়া, দংশন, বিষক্রিয়া, হাঁপানী, চর্মরোগ, ক্রিমি এবং চোখ, দাঁত ও কানের সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সংক্রান্ত কনডম, পিল, ইসিপিসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ ও বিতরণ নিশ্চিত করা হয়। জটিল রোগীদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সেবা প্রদান করে দ্রুত উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিতি, মোরেলগঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলে৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রামীন জনগোষ্ঠীর শতভাগ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের এখন আর অপ-চিকিৎসার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছে না।ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। নিজ এলাকাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী। গ্রামের হতদরিদ্র মহিলা, শিশু ও কিশোরীরা এখন হাতের কাছে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন।বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা: জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়। ২০০১ সালের মধ্যেই ১০ হাজার ৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয় এবং পর্যায়ক্রমে এই ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এসব ক্লিনিক বর্তমানে বাগেরহাট সহ সারাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভরসাস্থল হয়ে উঠে। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা আজ একবাক্যে স্বীকার করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের অভিনব ধারণা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার সুবিধাগুলো আজ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেই দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে, যার ফলে সরাসরি উপকৃত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের জনগণের বিশাল একটি অংশ।কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন বিনা মূল্যে ৩২ ধরনের ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাসহ পুষ্টি পরামর্শ দিচ্ছে। কিছু ক্লিনিকে প্রসব সেবাও দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করতে কাজ করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীদের চাপ কমেছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সবার কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধান ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম এই উদ্যোগ এখানে ব্যাপক সফলতা অর্জন করছে।

(এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির) বাগেরহাট সংবাদদাতা

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD