তিস্তায় বন্যা পানি বন্দী ৩ হাজার ৭শত বিশ পরিবার

মোঃ হামিদার রহমান নীলফামারীঃ দেশের সর্ব বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা নদী যেন মরণ ফাঁদ।
টানা বর্ষন উজানের পাহাড়ি ঢলে হিমালয় পর্বত থেকে গজল ডোবা হতে পেড়িয়ে আসা স্রোতের গতি বেড়ে তিস্তায় বন্যা, প্লাবিত হয়েছে ডিমলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে- ৩ হাজার ৭ শত বিশ পরিবার। তিস্তার চরবর্তী আবাদি জমি, মাছের পুকুর, শাক সবজি ক্ষেত, গরু, ছাগল সহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অগনিত, কষ্টে জীবন যাপন করেছেন তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান তার ইউনিয়নে ১৪ শত পরিবার পানি বন্দী, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান তার ইউনিয়নে পানি বন্দী ৫ শত পরিবার , গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ ইবনে ফয়সাল মুন জানান তার ইউনিয়নে পানি বন্দী পরিবার ২ শত বিশ, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক জানান তার ইউনিয়নে পানি বন্দী পরিবার ৯ শত, খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার জানান তার ইউনিয়নে পানি বন্দী পরিবার ৬ শত,খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান তার ইউনিয়নে পানি বন্দী পরিবার ১ শত।
বর্তমানে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রভাবিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *