কুমিল্লা থেকে, মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন,
মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনকে বার বার কৃষি জমি তে ড্রেইজিং বিষয় অবহিত করার পর দারোরা ইউপিতে ভ্রাম্যমান করলেও কামাল্লা ইউপি তে ভ্রাম্যমান দিচ্ছেন না
,প্রশাসনের গাফিলতির কারনে অবৈধ ড্রেইজিং মেশিন স্থাপনা করার করনে কৃষক আর মেশিন পক্ষ দন্দে এক ড্রেজার ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।স্পর্শ কাতর ঘটনার পরও ড্রেজার মেশিন চালু রেখেছেন মাসুদ,হিমেল,জালাল,হোসেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কথিত সাংবাদিক প্রশাসনকে ম্যানেজ করবে বলে তাদের কাছ থেকে মাসরা নিচ্ছে বলে অনেকে জানান।
আসলে অনেকেই নানাহ ভাবে বলাবলি করে প্রশাসনের নাকের ডগায় অমুক-তমুকে ড্রেজার চালায়। ড্রেজার চলে এটা চরম সত্য কথা। তবে এই ড্রেজার কাদের নেপথ্যে চলছে এই খোঁজ কিন্তু অনেকেই রাখেন না। আবার যারা এ খবর রাখেন,তারা মুখ খুলে বলেন না। তারা মনে করেন ভাসুরের নাম নেয়া অপরাধ।
মুরাদনগরে প্রত্যেকটা ড্রেজারের পিছনে কোন না কোন আওয়ামী লীগ নেতা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত।এছাড়াও কথিত বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের সাথে মিলে ড্রেজার চালু রেখেছেন। ড্রেজার নির্মূল না হওয়ার পিছনে এটা একটা বড় কারণ বলে স্থানীয় সাধারণ জনগনের মতামত।
এ ব্যাপারে ভুমি কর্মকর্তা জানান বার বার ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বারণ করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না,তবে ভ্রাম্যমান অব্যাহত রয়েছে।
আরেকটা কারণ হচ্ছে, কোন একটা ড্রেজার দিয়ে যখন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ইনকাম হয়, আর ওই ড্রেজারটা যখন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জব্দ করেন মালিকের ক্ষতি হয় সর্বোচ্চ ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। আবার ১০-১৫ লাখ টাকা ইনকামের আশায় রাতারাতি সে এক-দেড় লাখ টাকা খরচ করে ড্রেজার তৈরি করে ফেলেন।
তবে তা নির্মূল করার প্রাথমিক দুইটি উপায় হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এই পেশা থেকে সরে আসতে হবে এবং যারা ড্রেজার ব্যবসায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
অন্যথায় প্রশাসন ঘাম ঝরাবেন ঠিকই। দিনশেষে মুরাদনগর উপজেলার যে ক্ষতি হয়েছে বা সামনে আরো যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নেওয়ার উপায় আমার জানা নেই।
আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, কারো ক্ষতি করে নিজের সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব না।

Leave a Reply