December 22, 2024, 6:33 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বিটিএ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক নির্বাচিত সুজানগর এন এ কলেজের সভাপতি হলেন শহিদুর রহমান সুজানগরে ফসলি জমিতে ইটভাটা,হুমকির মুখে আবাদ ঝিনাইদহে ৩ দিন ব্যাপী বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা তানোরে জামায়াতের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কর্মী সভা দুর্বার তারুণ্যের বংকিরার পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে পাইকগাছার জনজীবন বিপর্যস্ত খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদে বড় দিন উপলক্ষে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ
বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু এক-অবিচ্ছেদ্য- কামরুজ্জামান উজ্জল

বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু এক-অবিচ্ছেদ্য- কামরুজ্জামান উজ্জল

সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি : শোককে শক্তিতে রুপান্তরের প্রত্যয় নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুজানগরের নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয় নাজিরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার প্রামানিকের সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান উজ্জল। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ আব্দুল ওহাব। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের রোকন, জেলা আ.লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল, দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান,সাগরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শাহীন চৌধুরী, তাতীবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধা, আহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া, রাণীনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম তৌফিকুল আলম পিযুষ, মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ মজিবর রহমান,সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন,ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম বিপুল, ভায়না ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান দয়াল, সাগরকান্দি ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরদার তোফায়েল আহমেদ, হাটখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ মাস্টার,রাণীনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক, দুলাই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রেজাউল করিম বাচ্চু মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, স্থানীয় আ.লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার লিমন, কামাল হোসেন মিয়া, ইকবাল প্রামানিক, শামীম হোসেন,পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সুজানগর পৌর শাখার আহ্বায়ক শ্রী রাজু রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ তুষার প্রমুখ ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও পাবনা-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান উজ্জল বলেন, বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু এক-অবিচ্ছেদ্য। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেয়া এক শিশু তরুণ বয়স থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধীকার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষা জীবন ও রাজনীতি চলে পাশাপাশি। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে জড়িয়ে ৪৭, ৫২, ৬৯, ৭০ সহ বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর দ্বার হতে বারবার ফিরে এসেছিলেন তিনি। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্ব এবং লাখো শহীদের রক্তে বিনিময় আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। আজ বঙ্গবন্ধু নেই রয়েছে তার প্রজ্ঞার স্বাক্ষর। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুরোধা পুরুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু । তিনি বলেন পঁচাত্তর পরবর্তীতে জাতির জনককে হত্যার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশ ছিল তিমিরাচ্ছন্ন। দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব গ্রহণ করে অনির্বাচিত সরকার। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে আশ্রয় পায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। এমনকি বঙ্গবন্ধু যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন তাদেরও নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘৭২-এর সংবিধান সংশোধন করে চার-মূলনীতি পরিবর্তন ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে সহায়তা করে। পৃথিবীর ইতিহাসে যতগুলো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১৫ আগস্টে জাতির জনকের সপরিবারে হত্যা সব ভয়াবহতা ছাড়িয়ে গেছে। সেদিন দুগ্ধপোষ্য শিশু, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, প্রতিবন্ধী কেউই রেহাই পায়নি। আর হত্যাকান্ডে খুনিদের শান্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে হয়েছে ।এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক যিনি বিদেশের কারাগারে বন্দি থাকলেও তার নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে স্বাবলম্বী করতে হলে তাঁর আদর্শের সরকারকেই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD