December 30, 2024, 5:30 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিকদের মিলন মেলায় আহবায়ক নজরুল চেয়ারম্যান মধুপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে  ৫০,২০০ টাকা জরিমানা সুজানগরের শীতার্তদের পাশে ছাত্রদল নেতা সৌরভ নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা সাউন্ড ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ বানারীপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী গুরুতর আহত কালীগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন
পাইকগাছায় বারোমাসি আমের চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের

পাইকগাছায় বারোমাসি আমের চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা(খুলনা)।।
পাইকগাছায় বারোমাসি আমের ফলন ভালো হয়েছে। আম বাগানে মুকুলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে আম। গাছের এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে আম ঝুলছে। আমের আকার এবং রংও হয়েছে বেশ আকর্ষণীয়। শরতের এই সময়ে বাগানে গাছ ভরা আম ছড়াচ্ছে আকর্ষণ ও সৌরভ। গাছে বারোমাস আম ধরে বলে এ আমের নাম রাখা হয়েছে বারোমাসি। গাছের আকৃতি ছোট। আম খেতে সুস্বাদু। একই গাছে মুকুল, গুটি ও পাঁকা আমের নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে কৌতুহলীরা ভীড় করছে।বারোমাসি আমের ফলন ভালো হওয়ায আম বাগানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাইকগাছায এখন যেসব আমগাছে মাত্র মুকুল ধরেছে, সেসব আমের গাছ থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। কাটিমন আম বারোমাসি জাতের বছরে তিনবার ফল প্রদান করে থাকে। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। ফল লম্বাটে এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ২০০-৩০০ গ্রামের হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় ত্বক হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদে সবুজ ভাব রং হয়।
দেশে এখন অন্তত বারোমাসি সাতটি জাতের আম চাষ হচ্ছে, যেগুলোকে অসময়ের আম বলা হয়। কাটিমন ছাড়া বাকি জাতগুলো হলো বারি-১১, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই, বানানা ম্যাঙ্গো, তাইওয়ান গ্রিন, মিয়াজাকি অর্থাৎ সূর্যডিম। এসব আমের যেমন বাহারি নাম, দেখতেও তেমন নজরকাড়া। বারি- ১১ ও কাটিমন আমের জাত আবার বারোমাসি।
অসময়ের আমের মধ্যে এখন দুটি জাতের বাগান বেশি হচ্ছে। থাই কাটিমন ও বারি- ১১। বারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম সারা বছরই ফল দিয়ে থাকে। বছরে তিনবার ফল পাওয়া যায়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাঁকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ।
আম গাছটির উচ্চতা ৬-৭ ফুট। গাছটির কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার কোথাও পাঁকা আম। একটি গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’। এটি খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের। এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। এছাড়াও এই জাতের একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে। বারি আম ১১ এর এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে। আম গাছের একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম থাকে। আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী। আমের আকার এবং রং ও হয় বেশ আকর্ষণীয়।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় বারোমাসি আমের একক কোন বাগান গড়ে উঠেনি। তবে বিভিন্ন গ্রামের গাছ লাগানো হয়েছে।আরও জানা গেছে, ১০/১২ বছর আগে নার্সারীর মালিক আক্তারুল দো-ফসলি আমের আবাদ করে এলাকায় সাড়া ফেল।এরপর পাইকগাছার রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল ২০২০ সালে বারোমাসি আমের চারা রোপণ করেন। রোপণের পরের বছরেই ফল ধরে। এ বছর তার আম বাগান থেকে প্রায় ১০ মন আম বিক্রি করেছেন। তার নার্সারীতে প্রায় ২ হাজার বারোমাসি আমের ছোট ছোট চারা রয়েছে।ছোট চারা ৩০-৫০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। সততা নার্সারীর মালিক অশোক পালের নার্সারীতে বারোমাসি কাটিমন জাতের আমের ফলন ভালো হয়েছে। ৬/৭ ফুট একটি গাছে ১৫/২০ টি করে আম ধরেছে। তার নার্সারীতে প্রায় শতাধিত বারোমাসি আমের চারা রয়েছে। ছোট চারা ৫০ টাকা ও ৬/৭ ফুট উঁচু চারা ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমগাছগুলোতে সারা বছর আম ধরে। গাছে কখনো মুকুল, কখনো আমের গুটি আর কখনো বড় আম দেখা যায়। বাগানে আমের জাতের মধ্যে রয়েছে থাই কাটিমন, বারি-৪, কিউজাই ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বারি আম -১১ বা বারমাসি আমের এই জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ও নার্সারীতে চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশের সকল আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে।পাইকগাছার উপকূল এলাকায় যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে নার্সারী মালিকরা।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD