চাকরি দেয়ার কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চাকুরি দেয়ার কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন শ্যামল কান্তি বিশ্বাস।

তিনি উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।

আজ সোমবার (২১ আগস্ট) ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ (২৭) বাদি হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে।

মামলার বিবরণে জানাগেছে, পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি শূন্য পদের বিপরীতে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আয়া পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। আবেদনের পর থেকে চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস আয়া পদে চাকুরি দেয়ার আশ্বাস দেয় এবং তার বাড়ি যেতে বলে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে মাঝেমধ্যে অভিযুক্তর বাড়ির কাজ করে দিত। ঘটনার দিন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে গলায় চাকু ধরিয়া জোর পুর্বক ধর্ষণ করে।

ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, চেয়ারম্যান ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। আমার স্ত্রীকে আয়া পদে আবেদন করার পর থেকে আমাদের বাড়িতে যাতায়াত বেড়ে যায়। আমি কাজের জন্য সব সময় বাড়িতে থাকতে পারিনা। চেয়ারম্যান আমার স্ত্রীকে চাকরি দিবে প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। আমরা আজ গোপালগঞ্জ আদালতে এসে মামলা করেছি। আদালতে আসার পর ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতিকে পাঠিয়েছে মামলা করতে বাধা দিতে। আমি চেয়ারম্যানের সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস বলেন, আজ সকাল থেকে জানতে পেরেছি আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। আমরা চেয়েছিলাম স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে, কিছু লোক তাদের মামলা করতে উসকানি দিয়েছে। আর মামলায় বাধা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে পাঠাইনি। তাকে পাঠিয়েছি মিমাংসার কথা বলার জন্য। #

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *