কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জমি লিখে নিয়ে মারধর, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা

এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

যাকে গর্ভে ধরেছিলেন, ছেলে ও পুত্রবধুর আঘাতেই নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মা আয়শা বেওয়া (৬৫)। বর্তমানে আয়শা বেওয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের তালতলা (নিলুরখামার) গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের স্ত্রী আয়শা বেওয়ার অভিযোগ, তার মরহুম পিতা তাজিমুদ্দিন সরকারের কন্যা হওয়ায় পাওনা জমির অংশ ৪২শতকে বসতবাড়ী করে বসবাস করে আসছেন। দুই পুত্র ও তিন কন্যার মধ্য সবার ছোট ছেলে আবু হোসেন তার মাকে ভরপোষণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৫বছর আগে বসতবাড়ী ৪২শতক জমি তার নিজ নামে লিখে নেয় এবং কয়েকদিন পরে ঐ বসতবাড়ী থেকে আবু হোসেন তার বড় ভাই আশরাফ আলী ও পরিবার কে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। আয়শা বেওয়া থেকে জমি লিখে নেয়ার ৪বছর থেকে ছেলে আবু হোসেন ও তার স্ত্রী গোলেনুর বেগমের নির্যাতনের শিকার তিনি। বর্তমানে মা আয়শা বেওয়া নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধী।

ভুক্তভোগী আয়শা বেওয়া জানান, ছেলে আবু হোসেন ও তার স্ত্রী তাকে ৪বছর থেকে নির্যাতন করে আসছেন। গত শুক্রবার ও শনিবার আমাকে মারধর করায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমার ছেলে অত্যাচারে প্রায় ১৭বছর আগে আমার স্বামী আব্দুল হামিদ বিষ খেয়ে মারা যান। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

তালতলা (নিলুরখামার) গ্রামের বাচ্চু, দেলদার আলী, রবিউল ইসলাম ও ওবায়দুল হকসহ অনেকে বলেন, আয়শা বেওয়ার কাছ থেকে ছোট ছেলে আবু হোসেন ভর-পোষণের কথা বলে বসতবাড়ী ৪২শতক জমি নিজ নামে লিখে নেয়। জমি লিখে নেয়ার ৪বছর থেকে ছেলে আবু হোসেন ও তার স্ত্রী গোলেনুর বেগমের নির্যাতনের শিকার আয়শা বেওয়া। বর্তমানে আয়শা বেওয়া নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধী। এ বিষয়ে একাধিকবার এলাকায় বৈঠক হলেও আপোষ মানেনি তার ছেলে ও পুত্রবধু। অবাধে আয়শা বেওয়াকে নির্যাতন করে আসছেন ছেলে ও পুত্রবধু।

অভিযুক্ত আবু হোসেন ও তার স্ত্রী গোলেনুর বেগম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যা হবার হবে। এবার খেলা দেখে নেব। আরো বলেন, আমার বাবা মাদক মামলায় কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছেন। মামলা বিষয়ে আমি সব বুঝি। এসবে কিছুই হয় না।

নাগেশ্বরী পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন রেজা বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক মাকে নির্যাতনকারী ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *