December 30, 2024, 3:59 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিকদের মিলন মেলায় আহবায়ক নজরুল চেয়ারম্যান মধুপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে  ৫০,২০০ টাকা জরিমানা সুজানগরের শীতার্তদের পাশে ছাত্রদল নেতা সৌরভ নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা সাউন্ড ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ বানারীপাড়ায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় স্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী গুরুতর আহত কালীগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন ও কমিটি গঠন
মায়ের কবরটারও অস্তিত্ব নেই,ঘর থেকে নদীর দুরত্ব প্রায় ৫ হাত

মায়ের কবরটারও অস্তিত্ব নেই,ঘর থেকে নদীর দুরত্ব প্রায় ৫ হাত

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: মোঃ নাঈম মল্লিক

আমার মায়ের কবরটার অস্তিত্বও নেই। ঘর থেকে নদীর দুরত্ব প্রায় ৫ হাত।এইতো কয়েক দিন আগেই আমার ভাই প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকা খরচ করে পুরাতন ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর তোলে। সেই ঘরটাও এখন যেকোন মূহুর্তে নদীতে বিলিন হয়ে যাবে।  আমার বাবার প্রায় ১-১৫০ শতাংশ জমি এই নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আমার দাদা,দাদী,ফুফু,বাবা, সবার কবরই নদীর ভয়াল গ্রাসে কেড়ে নিয়েছে।  কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলেন, নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শাফিন আমান।
সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলিন হচ্ছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও জনপদ। নদী পাড়ের ১০গ্রামে তীব্র ভাঙনে দিশেহারা শতশত পরিবার। দফায়  দফায় বাড়ি ছেড়েও রক্ষা মিলছে না। বর্ষা মৌসুম আসলেই শংস্কায় দিন কাটে নদী পাড়ের মানুষের।

এলাকাবাসী জানায়, সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার তাদের মাথা গোজার শেষ সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে আজ তারা দিশে হারা।  একসময়ের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নদীর ভয়াল গ্রাসে সব হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

উপজেলার
তিমিরকাঠি,খোজাখালি,মল্লিকপুর,
সিকদারপাড়া,বহরমপুর,ষাটপাকিয়া,কাঠিপাড়া,অনুরাগসহ ১০টিরও বেশি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এরমধ্যে খোজাখালি, দরিরচর ও তিমিরকাঠি এই তিনটি গ্রামের  সম্পূর্নরুপে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সিকদারপাড়া গ্রামের দুই তৃতীয়াংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
শুধু ঘড়বাড়ি নয়, নদী গর্ভে বিলিনের পথে নলছিটি- দপদপিয়া আঞ্চলিক সড়কও। কর্তৃপক্ষ নামে মাত্র ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে
যা কোন কাজে আসছে না।

এ ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম.নিলয় পাশা বলেন, নদীর ভাঙন ঠেকাতে প্রথম পর্যায়ে ৭টি স্থানে ১৩কিঃমিঃ এলাকায় ডাম্পিংয়ের জন্য ৮শ ৫৫কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে নদী পাড়ের মানুষজনকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা যাবে বলে আশা করি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD