রিপোর্ট : ইমাম বিমান
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: জিন্নাত আরা মেহেরীনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রেকর্ড সহকারী মো: খাইরুল ইসলাম ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন সহ আগামী ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান পূর্বক আদালতকে অবহিত করতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ মো: মাসুদুর রহমান।
গত ২৩ জুলাই ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত (স্মারক নং: ৭৪) এক পত্রে ডা: জিন্নাত আরা মেহেরীনের বিরুদ্ধে রেকর্ড সহকারী মো: খাইরুল ইসলামের সাথে অসাদচরণ ও অপ-চিকিৎসা সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করে আদালতকে অবহিত করতে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কে এক পত্র প্রদান করেন।
এ বিষয় আদালতের রেকর্ড সহকারী খাইরুল ইসলামের অভিযোগ সূত্র ও অনুসন্ধানে জানাযায়, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: জিন্নাত আরা মেহেরীনের পেশাগত অবহেলা, রোগীদের সাথে অসাদাচরন ও রোগীদের অপ-চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এছারাও ঝালকাঠির বাসিন্দা ডা: মেহেরীন জেলার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার পদে পোস্টিং হয়। যোগদানের শুরুতেই সে নির্ধারিত কর্মস্থলের বদলে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। অভিযোগ রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিময় বহির্ভূত ভাবে সে সদর হাসপাতালে বসে প্রাইভেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে ডা: মেহেরীন হাসপাতালের রোগীকে গণহারে প্রাইভেট চিকিৎসাসহ চিহ্নিত কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষায় পাঠিয়ে পার্সেন্টিজ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বদ মেজাজী ও রুক্ষ ব্যবহারের এ চিকিৎসক হরহামেশাই রোগীকে গালাগাল করে রুম থেকে বের করেও দেয় বলে গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। সরকারী কর্মচারী, সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য ও সাধারন রোগীর সাথে প্রতিনিয়ত র্দূব্যবহার করছে।
এ ব্যাপারে ডা: মেহেরীনের মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলে তার স্বামী ফোন ধরেন এবং এ বিষয় তার সাথেই কথা বলার জন্যে বলেন। ডা: মেহেরীনের স্বামী বলেন, কেউ দাবী করলেই ভুল চিকিৎসার প্রমান হয়না, এটা প্রমান করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত লাাগে। তার স্ত্রী বৈধ অনুমতি নিয়েই সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত আছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের একজন কর্মচারীর লিখিত অভিযোগের বিষয় তারা যথাযত ভাবে জবাব দেবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদ বলেন, আমি নতুন যোগদান করে কিছু অভিযোগের কথা শুনেছি। তা খতিয়ে দেখছি আর রোগীদের অহেতুক টেস্টের ব্যাপারে সব ডাক্তারকে সতর্ক করেছে। ডা: মেহেরীনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের রেকর্ড সহকারী মো: খাইরুল ইসলাম কর্তৃক একখানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন ও ৭দিনের মধ্যে রিপোট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply