অপরাধের অন্ধকার দূর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে কোতোয়ালির ওসি শাহ কামাল

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
পুলিশ বিভাগে সাহসী ও মেধাবী হিসেবে সব মহলে প্রশংসিত ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি আর্দশবান, শতভাগ পেশাদার ও ন্যায়পরায়ন। কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগ দেয়ার পর এ থানার চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে।

‘পুলিশ শাসক নয়- জনগণের সেবক’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে এখন কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকার জনসাধারণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ। এ কারণে হ্রাস পেয়েছে মানুষের প্রতি পুলিশের হয়রানি। শক্তি বা বল প্রযোগ নয়, বরং ভালবাসার বার্তা দিয়ে সমাজ থেকে অপরাধের অন্ধকার দূর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গত ১৯ জুলাই বুধবার রাত আনুমানিক ৮.১০ ঘটিকায় জেলার কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেড় নুরন্নাহার (৪০) এর নামের এক মহিলাকে খুন করে তারই ভাতিজি। পরে তার রক্তাক্ত মৃত্যু দেহ উদ্ধার করে একই দিনে মাত্র ৪ঘন্টার মাঝেই রাত আনুমানিক ১২টায় ওসি শাহ কামাল আকন্দের দক্ষতা ও মেধায় পাশ্ববর্তী তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়ন থেকে খুনী ভাতিজী সহ আরেকজনকে গ্রেফতার করে সাফল্য দেখিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

৭ জুলাই শুক্রবার রাত ১টা ৩০মিনিটে নগরীর কালিবাড়ীস্থ এসকে হাসপাতালের পিছন থেকে একজন গ্রেফতার করে তার হেফাজতে থাকা একটি পিস্তল ম্যাকজিনসহ এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার,৩রা জুলাই নগরীর কেওয়াটখালী এলাকা থেকে ৮শত পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক
তার দক্ষতায় জমি বিক্রির ৪ লক্ষ টাকা হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দিশেহারা হয়ে পড়া ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম মাত্র ৩ঘন্টার মাঝেই হারিয়ে যাওয়া সম্ভল তার জমি বিক্রির ৪লক্ষ টাকা ফেরত পেয়ে ভেজায় খুশী হন।এছাড়াও হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া,ধর্ষিতা ভিকটিম কে আর্থিক সহযোগীতা দেওয়া,নেশাগ্রস্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে চাকরির ব্যবস্থা করাসহ আরো বহু জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে বর্তমানে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকার মানুষের মাঝে প্রকৃত বন্ধু হিসাবে আলোচিত হয়ে আছেন। এছাড়াও নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের আতঙ্ক হয়ে আছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ। ইতিমধ্যে অপরাধ নির্মুলে বিভিন্ন কর্মকান্ডে অবদান রেখে রেঞ্জে ও জেলায় শ্রেষ্ট হিসাবে প্রায় অর্ধশত পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

তার ব্যতিক্রমী আরো উদ্যোগ হলো- থানাকে দালালমুক্ত করে মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা, ছোট ছোট অপরাধ ও জমির বিবাদ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, বিট পুলিশিং সভা, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সভা, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাহারা জোরদার, স্কুল ও কলেজে স্টুডেন্ট কমিউনিটি গঠন ইত্যাদি।
থানার সৌন্দর্য বর্ধনে ভূমিকা রাখাসহ আরো অনেক কর্মকান্ড চলমান রয়েছে।

ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *