রাজশাহী কর অঞ্চলের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুদকের চার্জসিট

রাজশাহী থেকে মো: হায়দার আলীঃ রাজশাহীর চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকার নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়া কর কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুদক রাজশাহী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন এতথ্য জানান।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, রাজশাহীর চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকা রাজশাহী কর অঞ্চলের একজন নিয়মিত করদাতা। তিনি সর্বশেষ গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ২০২২-২৩ করবর্ষের আয়কর বাবদ ১১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫ টাকা কর দিয়েছেন। আয়কর রিটার্ন দাখিলের কিছুদিন পরে কর কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়া তাঁকে ডেকে পাঠান এবং ঘুষ দাবি করেন। চাহিদা মোতাবেক ঘুষ না দিলে তাঁর আয়কর নথিটি আবার উন্মোচন করা হবে বলে হুমকি দেন।

কিন্ত চিকিৎসক প্রথমে ঘুষ দিতে চাননি। তাই মহিবুল ইসলাম এই চিকিৎসকের ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ করবর্ষের আয়কর নথি পুনরায় উন্মোচন করে নোটিশ দেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রাক্ যাচাই-বাছাই বা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই চিকিৎসকের বিগত পাঁচ বছরের আয়কর নথি উন্মোচন করা হয়। কর কর্মকর্তা এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মনগড়াভাবে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ আনেন। এ কারণে ঘুষ দিতে রাজি হন চিকিৎসক ফাতেমা।

কর কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়া তখন ফাতেমা সিদ্দিকার আয়কর নথিটি হালনাগাদ ও আয়কর অধ্যাদেশ-৯৩ ধারায় পুনরায় উন্মোচন মামলা নিষ্পত্তি করে দেবেন বলে মোট ৬০ লাখ টাকা ঘুষ চান। এর মধ্যে প্রথম কিস্তি বাবদ ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় তিনি গ্রেপ্তার হন।
তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন বলেন, মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কমিশন তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দেয়। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এখন মামলার বিচার শুরু হবে।

মো: হায়দার আলী
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *