May 11, 2025, 12:21 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
মাগুরায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপিত সুন্দরবনের নতুন হুম-কি: বনদ-স্যু নয়, এখন মহাজন চুরিতে জড়িত কর্মকর্তারা এখনো বহাল, এদের সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয় : মাওলানা ইকবাল হোসাইন সলঙ্গার আব্দুল আলিম হজ্ব কাফেলার মাধ্যমে ৯৬ জন হজ্বযাত্রী হজ্বে গমন চারঘাট পৌরসভায় সমস্যা সংজ্ঞায়ন ও প্রাথমিক ধারণা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা বেলকুচিতে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য রফিকুলের অত্যা-চারে অতি-ষ্ঠ এলাকাবাসী মুন্সীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরো-ধের জেরে হাম-লায় আহ-ত ৩ ধামইরহাটে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ব্য-র্থ হওয়ায় যুবকের আত্মহ-ত্যা পাইকগাছা পৌরসভায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন পাইকগাছায় চাঁ-দা চেয়ে ঘের ব্যবসায়ীকে চিঠি, থানায় জিডি ; ব্যবসায়ী দম্পতির প্রেস ব্রিফিং
সাকার মাছ দেশীয় মাছ উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে

সাকার মাছ দেশীয় মাছ উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

সাকার ফিস (Sucker Fish) নামেই পরিচিত, যার বৈজ্ঞানিক নাম Hypostomus Plecostomus. বেশ কয়েকবছর যাবত মাছ ধরতে যেয়ে হরহামেশা সাকার ফিস পাওয়া যাচ্ছে। তখন এটি নিয়ে এতোটা উদগ্রীব না হলেও, এখন হচ্ছে। কারন, বর্তমানে সারাদিন বড়শি বা জাল ফেললে শুধু সাকার ফিসই উঠে আসে। খাদ্য হিসেবে পৃথিবীর কোথাও এই মাছটি প্রচলিত নয়। এছাড়াও এর কিছু ভয়ঙ্কর ফলাফল আছে।

এখন সারা দেশে সাকার মাছ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের অধিকাংশ জেলার নদ-নদীতে এ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছ বুড়িগঙ্গার মতো দূষিত পানিতেও টিকে থাকতে পারে। দ্রুত প্রজননও ঘটায় মাছটি। পাশাপাশি মানুষ এই মাছ না খাওয়ায় এটি দ্রুত বাড়ছে ও ছড়িয়ে পড়ছে। সাকার দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ মাছ যেকোনো পরিবেশে বাঁচতে পারে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। মাছটি খাওয়া যায় না। সর্বোপরি সাকার মাছ জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে। এমনকি এই মাছ ফ্রিজে বরফ বানিয়ে ফেললেও, অনেকদিন পর তা বের করে বরফ গলালে মাছ নড়াচড়া শুরু করে। মাছটি উভচর প্রাণী। পানি ছাড়া শুধুমাত্র মাটিতে মাসের পর মাস স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করতে পারে।

মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে পত্রের পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন জারি করায় এখন চাইলে মানুষ এখন আর মাছটি আমদানি, রপ্তানি, ক্রয় বিক্রয় বা অ্যাকুয়ারিয়ামে পালন বা কিংবা প্রজনন কিছুই করতে পারবেন না। তবে মাছটি আগে থেকেই ছড়িয়ে এসেছে, সেক্ষেত্রে এখন সবার এই বিষয়টি জরুরি ভাবে দেখা উচিত। কৃষি ও মৎস্যবিদরা মনে করেন,” সাকার মাছ এর জন্য অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। তাই, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বিষয়ে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করছেন সচেতন মহল। সেই সাথে যারা পুকুরে মাছ চাষ করে থাকেন তারাও মাছটি যাতে কোনোভাবে পুকুরে প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে বলে জানান মৎস্য বিভাগ।”
মাছ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই দেশীয় মাছ রক্ষায় ভয়ংকর সাকার মাছ নিধন করা জরুরি।অন্যথায় দেশি মাছের সংকট দেখা দিতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD