মহিউদ্দীন চৌধুরী,ষ্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকা চান মানবিক ও সাবেক ছাত্রনেতা জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন। এ আসনে দলীয় কোন্দলের কারণে এবার ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজছে। দীর্ঘদিন মানবিক সংগঠন পটিয়া নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে আমেরিকা প্রবাসী ডক্টর জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন নিজ এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। যার এলাকায়  নজির আহমেদ ফাউন্ডেশন নামে জুলকারনাইন একনামে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। 
পটিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান ও সাবেক ছাত্রনেতা ডক্টর জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাসের সভাপতি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রজীবন থেকেই এখনো আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি করছেন। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সামগ্রী বিতরন অব্যাহত রয়েছে। ক্যান্সার রোগী, অসহায় লোকের মেয়ে বিয়েতে আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা সহায়তা ছাড়াও নিজ গ্রামে বেকার সমস্যা দূর করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের আবু বকর চৌধুরীর পুত্র। মেধাবী এ ছাত্রনেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে পিএচডি ডিগ্রি নিতে আমেরিকায় পাড়ি দেন। পিএইচডি ডিগ্রি শেষে সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে রয়েছেন। আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠা জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম নগরীর বক্সীরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল আলম চৌধুরীর ভাতিজা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর সুলতান আহমদ কুসুমপুরীর ঘনিষ্ঠ পারিবারিক আত্মীয়। তিনি নগরীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে ভুমিকা রাখেন। তিনি সিটি কলেজে লেখা পড়াকালীন নগরীর নালাপাড়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থানও নেন। ১৯৯৪ সালে জামায়াত-শিবিরের তৎকালীন আমির গোলাম আজমকে চট্টগ্রামে নামতে না দেওয়ার আন্দোলনে পুলিশ,বিডিআর ও শিবির আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে৷ এসময় জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন প্রাণে বেঁচে গেলে নিহত স্কুল জীবনের বন্ধু এহসানুল হক মনি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রেুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন জামায়াত-শিবির আমাদের উপর আক্রামন করে বইপত্র পুড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ দুইবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিবিরের কারনে হেঁটে যেতে পারি নাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পূর্বে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে চট্টগ্রাম শহরে ভুমিকা রাখেন।
ডক্টর জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাসের দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশের রাজনীতি করছেন এবং দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নিজের উপার্জিত অর্থে নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মানবিক কর্মকান্ড চলছে। গত দুই বছরের অধিক পটিয়াতে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। যা চলমান থাকবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগে যেসব নেতাকর্মীদের পটিয়ায় অবমূল্যায়ন ও অবহেলার শিকার তাদের পাশে রয়েছেন এবং তাদেরকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকায় মানবিক কাজ করছেন।  আমি ছাত্রজীবন  ১৯৯৬ সাল থেকে বিএনপি-জামায়াত বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনে পটিয়ার রাজপথে  ছিলাম। সকলের সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) এলাকায় মানবসেবা করতে চান। 

Leave a Reply