প্রেমের টানে পাবনার সুজানগরে মালয়েশিয়ান তরুণী

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর(পাবনা) ঃ প্রেমের টানে প্রায় আড়াই হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পাবনার সুজানগরে প্রেমিক রায়হান মন্ডলের কাছে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী নূর শাহীদা(২৬)। সে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরের মোহাম্মদ চিমার উদ্দিনের মেয়ে। প্রেমিক রায়হান মন্ডল পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের মো.সামাদ মন্ডলের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়,মালয়েশিয়ান তরুণী আসার খবর গ্রাম সহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ। এর আগে গত রবিবার এক মাসের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। পরে সোমবার প্রেমিক রায়হানের নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ ব্যাপারে রায়হান মন্ডল বলেন,গত ৭ বছর পূর্বে আমি মালয়েশিয়া যাই। মালয়েশিয়ায় থাকার সুবাদে সেখানে পরিচয় হয় মালয়েশিয়ান তরুণী নূর শাহীদার সঙ্গে। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। আমাদের দীর্ঘ প্রায় ৩ বছরের সম্পর্ক। সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আসার পর গত সোমবার(১৭ জুলাই) আমার গ্রামের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ার তারাবাড়িয়া নতুনপাড়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের দেনমহর নির্ধারণ করা হয় এক লাখ টাকা। কিছুদিন পর আমরা দুইজনই আবার মালয়েশিয়া যাব। স্থানীয় সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেত বাচ্চু জানান, প্রেম মানে না শাসন-বারণ। প্রেমানুভূতির নেই কোন সীমানা। সাত সাগর তের নদী পেরিয়ে প্রেমিক -প্রেমিকের মিলনেই যেন সার্থকতা। এবারে সে তালিকায় নাম লেখালেন মালয়েশিয়ান তরুণী নূর শাহীদা।ভাঙা ভাঙা বাংলায় মালয়েশিয়ান তরুণী নূর শাহীদা বলেন, রায়হান আমাকে ভালবাসে আমিও রায়হানকে ভালবাসি। বাংলাদেশে এসে আমি আমার পরিবার এবং রায়হানের পরিবারের সম্মতিতে সোমবার দুইজন বিয়ে করেছি। আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। এখনাকার সবাই ভালো ও আন্তরিক। রায়হানের পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্য ভাই ও বোনেরাও আমাকে আপন করে নিয়েছে। আমরা যেন সুখী হতে পারি এজন্য সবার কাছে দোয়া চান মালেশিয়ান তরুণী নূর শাহীদা। রায়হান মন্ডলের পিতা সামাদ মন্ডল বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী ভালো মনের মানুষ। আমাদের পরিবার ও আগত মানুষজনের সঙ্গে সহজেই মিশে গেছেন। এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন,এটা আমার উপজেলার ঘটনা। লোকমুখে শুনেছি । তবে সরাসরি দেখা হয়নি।

এম এ আলিম রিপন।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *